জাকির হোসেন,রাজশাহী।
রাজশাহী নগরীর লক্ষীপুর চৌরঙ্গী জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে গত কয়েকদিন যাবৎ আমিনুর রহমান বাচ্চু সহ মুষ্টিমেয় কয়েকজন ব্যাক্তি মিথ্যা মামলা, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন হয়রানি মুলক মামলা করে এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এই মিথা অপপ্রচার বন্ধ সহ আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ নিয়ে আজ রবিবার বেলা ১২ টায় লক্ষীপুর মোড়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মসজিদ পরিচালনা কমিটি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মসজিদ কমিটির সম্মানিত সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারী। লিখিত বক্তব্যে ডাঃ ইকবাল বারী বলেন ” মোঃ আমিনুর রহমান বাচ্চু কিছু দিন যাবৎ চৌরঙ্গী জামে মসজিদের নির্মাণ কাজে অঞ্জাত লোকজন নিয়ে মিথ্যাচার করছেন এবং থানায় অভিযোগ, কাজ বন্ধ করতে আদালতে মামলা, সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধন ও হ্যান্ডবিল বিতরণ করছে। আজ আপনাদের সামনে সত্যতা প্রকাশ করার জন্য আজকের আয়োজন। এই মসজিদ ১৯৭২ সালে স্থাপিত হয় এবং ১৯৭৪ সালে মৃত হাজি আতর আলী মসজিদের নামে সম্পত্তি ওয়াকফ করে দেন।টিনশেড থেকে মসজিদটি আধুনিকায়ন হয়ে বর্তমান রুপে নির্মান হচ্ছে। কয়েক বছর আগে মসজিদটি ৫ তালা নির্মাণ করা হয়, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নতুন ভবন নির্মাণ করার সময় তাদের অপরিকল্পিত কাজের জন্য মসজিদে ফাটল ধরে এবং মসজিদটি ঝুঁকি পূর্ণ হয়ে যায়। সেই সময় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার মসজিদ নির্মানের জন্য ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ৫ কিস্তিতে ক্ষতি পূরন দেয় যা মসজিদের ব্যাংক হিসাবে জমা হয়। কিন্তু ক্ষতি পূরনের টাকা দিয়ে মসজিদের নির্মানের খরচ বহন করা সম্ভব হয়নি ফলে মসজিদ কমিটি নতুন মসজিদ নির্মানের জন্য দোকানের পজিশন বিক্রি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। লিখত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন আমিনুর রহমান বাচ্চু কিছু দিন আগে আমার নিকট দোকান কিনতে আসে, দোকানের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে কম মুল্য দিতে চাই আমি দোকান বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করি তারপর থেকে ক্ষুব্ধ হয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মসজিদের নির্মাণ বিরোধী বিভিন্ন অপপ্রচারের কাজ শুরু করেন। এমনকি মারধরের কথা উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ সহ মসজিদ নির্মান কাজ বন্ধ করতে আদালতে মামলা দায়ের করেন। একজন মুসলমান হয়ে মসজিদ নির্মান বন্ধ করার জন্য মামলা করা কোন মুসলমানের কাজ হতে পারে না। সংবাদ সম্মেলনে সভাপতি আরো বলেন আমিনুর রহমান বাচ্চু মসজিদের নক্সা হিন্দু ইন্জিনিয়ারকে দেয়া হয়েছে যা না জেনে না বুঝে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন। এর জন্য তার বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী শাস্তি হওয়া একান্ত প্রয়োজন। আমিনুর রহমান বাচ্চুর অভিযোগ মসজিদের নিচতলায় কোন দোকান করা ধর্মীয় ভাবে উচিত না এ বিষয়ে সভাপতি বলেন আলেম উলামাদের সাথে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আলআকসা নিয়ে মিথ্যাচারের বিষয়ে আলআকসা ডেভেলপার এর মালিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বলেন আমিনুর রহমান বাচ্চু এমনই একজন মানুষ যে কোন দিনই কারো সাথে সুসম্পর্ক রক্ষা করতে পারে না “। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শেখ আনসারুল হক খিচ্চু বলেন ” আমিনুর রহমান বাচ্চু ইতিপূর্বে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন মসজিদে অশোভন আচরণ করার জন্য ঐ সকল মসজিদ থেকে বিতাড়িত অবাঞ্ছিত হয়েছেন, তিনি লক্ষীপুর চৌরঙ্গী জামে মসজিদের মুসল্লী ও না কোনদিন মসজিদের উন্নয়নের জন্য একটা টাকা দানও করেননি । তিনি নিজের স্বার্থ হাসিল না হবার কারনে রাগ করে এসকল অপপ্রচার করছে।” সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে আমিনুর রহমান বাচ্চুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি আলআকসার মালিক সংবাদ সম্মেলনে যে বক্তব্য দিয়েছে সেটা মসজিদ কমিটির ভয়ে এছাড়াও তিনি বলেন সরাসরি সাক্ষাৎ এ কথা বললে বুঝিয়ে বলতেন”। আমিনুর রহমান বাচ্চুর অপপ্রচার ও মিথ্যাচার সহ মানহানিকর বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে মসজিদ কমিটির সভাপতি ডাঃ ইকবাল বারী সংবাদ সম্মেলন সমাপ্ত করেন।সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন মসজিদ কমিটির সদস্যবৃন্দ সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।