দেশের তথ্য ডেস্ক:-
র্যাব-৬, এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, গত ইং ০৭/১০/১৯৯২ তারিখ সকালে যশোর সদর উপজেলার হৈবতপুর কাজী নজরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের সামনে যশোর-ঝিনাইদহ সড়ক এর পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার গলায় রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়। আসামীরা জাফরকে ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিয়ে আসে পরে আসামীরা তাকে যশোরের উক্ত ঘটনাস্থলে এনে হত্যা করে লাশ ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায় যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা অজ্ঞাত আসামীদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে অতিরিক্ত দায়রা জজ ৩য় আদালত, যশোর গত ২২/০৮/২০২৩ তারিখ মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত ০৬ জন আসামীকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে র্যাব-৬, গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীদের অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ আগস্ট ২০২৩ তারিখে র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, ১৯৯২ সালের যশোরের জাফর হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা খুলনা ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ খুলনা ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ১। রণকুল ইসলাম, পিতা-আমান উল্লাহ, থানা-বটিয়াঘাটা, জেলা-খুলনা, ২। হান্নান বয়াতী, পিতা-মোঃ হাকিম বয়াতী, ৩। মান্নান, পিতা-মৃত আজিম উদ্দিন, ৪। এনায়েত হোসেন, পিতা-মৃত আসমত আলী, সর্ব থানা-রামপাল, ৫। মোঃ সাহাবুল আলম সাবু, পিতা-মৃত মজিবর রহমান, থানা-ফকিরহাট, জেলা-বাগেরহাটদের’কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানা ও বাগেরহাট জেলার রামপাল থানা এবং ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।