যৌতুকের দাবীতে স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন; অন্যতম সহযোগী পলাতক ঝিনাইদহে আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

jowtuk.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

ভিকটিম সিমা খাতুনের সাথে মোঃ জহুরুল ইসলাম (২৮) পিতা-মোঃ গফফার বিশ্বাস সাং-বাঁশগ্রাম, থানা-কুমারখালী, জেলা-কুষ্টিয়া, (এপি সাং-আরাপপুর, থানা ও জেলা-ঝিনাইদহ) এর সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। পারিবারিক জীবনে তাদের দুইটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পুর্বে স্বামী- মোঃ জহুরুল ইসলাম ব্যবসা করার কথা বলে ভিকটিমের নিকট ২,০০,০০০/-টাকা যৌতুক দাবী করে। যৌতুকের টাকা না পেয়ে পাষন্ড স্বামী ভিকটিমকে বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে। ভিকটিমের পিতা বিষয়টি জানতে পেরে তার অভাব অনটনের সংসার হতে ১,০০,০০০/-টাকা যৌতুক প্রদান করেন। পরবর্তীতে পাষন্ড স্বামী যৌতুকের অবশিষ্ঠ টাকা দাবী করে পুনরায় ভিকটিমকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। যৌতুকের অবশিষ্ট টাকা না পেয়ে গত ১৩ মে ২০২৩ তারিখ ভিকটিমের সাথে তার স্বামীর বাকবিতন্ডা হয়। তখন ভিকটিম যৌতুকের অবশিষ্ঠ টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ধৃত আসামীর সহায়তায় পাষন্ড স্বামী মোঃ জহিরুল ইসলাম তার ভাড়াকৃত বসত ঘরের মধ্যে লোহার হাতুড়ী দিয়ে ভিকটিমকে এলোপাথারিভাবে আঘাত করে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা ভিকটিমকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় দেখে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। একই তারিখ চিকিৎসারত অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যু হয়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল আত্মগোপনে থাকা হত্যাকারী পাষন্ড স্বামী মোঃ জহুরুল ইসলাম (২৮), কে গ্রেফতার করে এবং সহযোগী আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে।

এরই ধারাবাহিকতায় ২১ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ রাত ০১.০০ ঘটিকায় র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন আরাপপুর বাজারস্থ এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আত্মগোপনে থাকা সহযোগী অন্যতম আসামী- মোঃ রাসেল (২৮), থানা-সদর, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

Share this post

PinIt
scroll to top