দেশের তথ্য ডেস্ক:-
আসামী মোঃ সেলিম খন্দকার (৫৮) দাঙ্গাবাজ ও মাস্তান প্রকৃতির লোক। তাদের সাথে ভিকটিমের পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। গত ইং ১৮-০৬-২০২৩ তারিখ দিবাগত রাতে আসামী মোঃ সেলিম খন্দকার সহ অন্যান্য আসামীরা যোগসাজসে রামদা, ছোড়া, লোহার রড, লাঠিসোটা, চাইনিজ কুড়াল, ছ্যানদা ইত্যাদিসহ ভিকটিমের বাড়িতে গিয়ে মামুন, মামুনের স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজনকে এলোপাথারি কিল,ঘুষি মারতে থাকে এবং লাঠিসোটা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এক পর্যাযে আসামী মোঃ সেলিম খন্দকার তার হাতে থাকা রাম দা দিয়ে মামুনকে খুন করার উদ্দেশে মাথায় কোপ মারিলে হাত দিয়ে ঠেকাতে গেলে ডান হাতের কনুইয়ের নীচে কোপ লেগে রক্তাক্ত জখম হয়। পরবর্তীতে ঘরে থাকা স্বর্ণের অলংকার,নগদ টাকা নিয়ে আসামীরা পালিয়ে যায়। ভিকটিমরা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হইলে প্রাথমিক ভাবে মুকসুদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে মামুন ও মামুনের স্ত্রী’র অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। মামুনের অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। র্যাব-৬,খুলনার ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনার পর থেকেই পলাতক আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৬ আগস্ট ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, ভাটিয়াপাড়া ক্যাম্প এর একটি চৌকস আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, আসামী মোঃ সেলিম খন্দকার (৫৮) থানাঃ মুকসুদপুর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ, অত্র জেলার সদর থানাধীন গোবরা স্টেশন এলাকায় আত্মগোপনে আছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে উক্ত আভিযানিক দলটি ১৬/০৮/২০২৩ তারিখ ভোরে গোপালগঞ্জ সদর থানাধীন গোবরা স্টেশন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে যুবলীগ নেতা মামুন হত্যা মামলার আসামী মোঃ সেলিম খন্দকার (৫৮) থানাঃ মুকসুদপুর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ কে গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়।