সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কেএমপি’র পুলিশ কমিশনারঃ

mojam.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

১৫ই আগস্ট ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ, ৩১ শ্রাবণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ মঙ্গলবার দুপুর ১২:০৫ ঘটিকায় বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের এম্ফি থিয়েটারে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কেএমপি’র মান্যবর পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বেতার খুলনায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু’র ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক জনাব নিতাই কুমার ভট্টাচার্য’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে খুলনার বিভাগীয় কমিশনার জনাব মো: হেলাল মাহমুদ শরীফ উপস্থিত ছিলেন।
কেএমপি’র পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোজাম্মেল হক, বিপিএম (বার), পিপিএম-সেবা মহোদয় বঙ্গবন্ধু’র জীবনী স্মৃতিস্মরণ করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বলেন, “১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ উচ্চারণের মধ্য দিয়েই মূলত মুক্তিযুদ্ধের শুরু। চব্বিশ বছরের আন্দোলন-সংগ্রাম-কারাবরণ-নেতৃত্ব-নির্বাচনে জয়লাভ এবং মুক্তিযুদ্ধের তথা স্বাধীনতার ঘোষণা সবই যেন স্তরীভূত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ, যে কর্মযজ্ঞের কেন্দ্রে ছিলেন বঙ্গবন্ধু।
সুতরাং সড়ে সাত কোটি মানুষ সেদিন আবর্তিত হয়েছিল নিয়তির মতো। পাকিস্তানি সৈন্যদের বিরুদ্ধে নয় মাস যুদ্ধ করেছে আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা। পক্ষান্তরে এ দেশের কিছু সংখ্যক দালাল যারা রাজাকার, আলবদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে পাকিস্তানি সৈন্যদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত স্বাধীন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধু ফিরে এলেন ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি। দেশ গড়ার কাজে হাত দিলেন তিনি। দেশ পরিচালনার জন্য প্রথমেই দরকার হলো অর্থের এবং একটি সংবিধানের। খুব অল্প সময়ের মধ্যে সংবিধান প্রণয়ন করা হলো যে সংবিধান ছিলো বিশ্বের যে কোনো আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সংবিধানের সমতুল্য। সেই সংবিধানের চারটি মূল স্তম্ভ ছিলো জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। একটি নতুন রাষ্ট্র কী উপায়ে গতিশীল হবে এবং বিশ্বসভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে তার সমস্ত পরিকল্পনা বঙ্গবন্ধুর মধ্যে ছিলো।’’
তিনি আরো বলেন, “শুধু স্বাধীনতা সংগ্রামেই নয়, স্বাধীনতা পরবর্তী দেশ গঠনেও বেতার তার ভূমিকা অব্যাহত রেখেছে। তথ্য অধিকার ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বেতার অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রেখে চলেছে। এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ থেকে দেশের মানুষের কল্যাণের ব্রত নিয়ে বেতারের কর্মকর্তাদের কাজ করার জন্য আহবান জানান।”
এ সময় কেএমপি’র অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) জনাব শেখ ইমরান; সহকারী পুলিশ কমিশনার (স্টাফ অফিসার) জনাব ইমদাদুল হক-সহ প্রশাসনিক ও বাংলাদেশ বেতার খুলনার শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Share this post

PinIt
scroll to top