দেশের তথ্য ডেস্ক:-
খুলনা মহানগর এলাকায় ডিবির ওসি আল-মামুন এবং ডিবির এসআই/আকবর ভূয়া পরিচয় দানকারী ব্যক্তি নগরীর সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সার পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ডে থাকা মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে ইজিবাইক ও রিক্সার মালিকের নিকট ফোন করে জানায় যে, “আমি ডিবির ওসি আল-মামুন বলছি। আপনার ড্রাইভার মাদকসহ ডিবি পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ড্রাইভারের নামে মামলা হবে। আপনার গাড়ী নিতে চাইলে আমার মোবাইল (০১৯৮১-৯৪৭৪৬২) নম্বরে আগে টাকা বিকাশ করে, পরে ডিবি অফিসে যোগাযোগ করেন।” একইভাবে উক্ত প্রতারক বিভিন্ন বাজার মালিক সমিতির সভাপতি/সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জরুরী প্রয়োজনের কথা বলে বিকাশের দোকান মালিকের কাছে ফোন করে ৪০০০/৫০০০ টাকা ছাড়াও বিভিন্ন অংকের টাকা বিকাশ করতে বলে। এইভাবে উক্ত প্রতারক গত ০২ বছর যাবৎ খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি, ইজিবাইক, রিক্সা পিছনে এবং দোকানের বিলবোর্ডে থাকা মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মালিকদের ফোন দিয়ে ভূয়া ডিবির ওসি/এসআই পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবী করে আসছিল।
গত ১২/০৮/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ জনৈক ইজিবাইক মালিক মিলন হাওলাদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় খুলনা মহানগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে খুলনা থানাধীন নিরালা মোড় হতে ১২/০৮/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ রাত ২২:৩০ ঘটিকায় ভূয়া ডিবির পরিচয় দানকারী উক্ত প্রতারক মোঃ আল-আমিন শেখ (৩৪), পিতা-আতিয়ার শেখ, সাং-বেলফুলিয়া, আইচগাতি, থানা-রূপসা, জেলা-খুলনা’কে ভূয়া ডিবি পরিচয়ে চাঁদা দাবীর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় এবং চাঁদা দাবীতে ব্যবহৃত ০২ (দুই) টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উক্ত আসামীকে গ্রেফতারকালে নিরালা বাজারে বিভিন্ন দোকানদার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তখন উক্ত দোকান মালিকদের মধ্যে ০২ জন ভুক্তভুগি ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। তারাও একইভাবে প্রতারণার স্বীকার হয়েছেন মর্মে জানান। ডিবি’র টিম ০২ জন ভুক্তভুগি ব্যক্তির নিকট থেকে প্রতারকের কথপোকথনের অডিও রেকর্ড সংগ্রহ করেন। গ্রেফতারকৃত ভূয়া ডিবির পরিচয় দানকারী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।