বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ে ভোট হোক -ভারত

varot-1.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক:- 

ভারত আবারও জানিয়ে দিল, বাংলাদেশে নির্ধারিত সময়ে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এমনটাই তারা চায়। শুক্রবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি এই কথা বলেন।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে বিরোধী দল বিএনপি’র লাগাতার আন্দোলন, নির্বাচনকালীন তত্ত¡াবধায়ক সরকার গঠনের দাবি ও নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন করা হয়।

 

জবাবে অরিন্দম বাগচি বলেন, কয়েক দিন আগেই এ-সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি ভারত সরকারের মনোভাবের কথা জানিয়েছিলেন। সেই মনোভাব এখনো অপরিবর্তিত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কী চলছে, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা সমীচীন নয়।

মুখপাত্র স্পষ্ট করেই বলেন, তত্ত¡াবধায়ক সরকার গড়া হবে কি না, সে বিষয়টি সে দেশের সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। তাই এ নিয়ে কিছু বলা সংগত নয়।
অরিন্দম বাগচি আরও বলেন, তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনার মতো কাল্পনিক কোনো বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তিনি চানও না। ভারত চায়, নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক এবং নির্ধারিত সময়েই হোক।
স¤প্রতি এক সর্বভারতীয় দৈনিকের উপ-সম্পাদকীয় নিবন্ধে বলা হয়েছিল, বাংলাদেশে নির্বাচনী জটিলতাকে কেন্দ্র করে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে।
বৃহস্পতিবার অনাস্থা ভোটের আগে মোদি তার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে দেওয়া ভাষণে মণিপুরের বিষয়টি না আনলে বিরোধীরা সংসদ থেকে ওয়াকআউট করে।
তবে বক্তৃতার শেষের দিকে মোদি কথা বলেন মণিপুর ইস্যুতে। তিনি বলেন, ‘ফেডারেল এবং রাজ্য সরকার রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনতে এক হয়ে কাজ করছে।’
মোদি বলেন, ‘আমি মণিপুরের জনগণকেও বলতে চাই, দেশ আপনাদের সঙ্গে আছে। আমরা এক হয়ে এই চ্যালেঞ্জের সমাধান খুঁজে বের করবো।’
ভাষণে মণিপুর নিয়ে ‘রাজনৈতিক খেলার জন্য’ জন্য বিরোধীদের অভিযুক্ত করেন মোদি।
তিনি বলেন, ‘তাদের ভারতের জনগণের ওপর, ক্ষমতার ওপর আস্থা নেই। তারা এই অনাস্থা ভোট দিয়ে ভারতীয়দের আত্মবিশ্বাস ভাঙার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।’
২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর এমন ঘটনা দ্বিতীয়বার ঘটলো মোদি সরকারের সঙ্গে। ২০১৮ সালে এক আইন প্রণেতা দক্ষিণ অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যকে একটি বিশেষ বিভাগের মর্যাদা দেওয়ার বিষয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন। ১২ ঘণ্টা বিতর্কের পর এটি খারিজ হয়ে যায়।

Share this post

PinIt
scroll to top