দেশের তথ্য ডেস্ক:-
খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, এস এম এ রব কর্মীবান্ধব উদার ও সাহসী মনের রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি দরিদ্র অসহায় মানুষের পাশে থেকে পীড়িতদের সেবা করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে যথার্থভাবে তা প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন। প্রত্যেক নেতা-কর্মীদের যে কোন প্রয়োজনে তিনি সব সময় পাশে থাকতেন। তার আন্তরিক ও অমায়িক ব্যবহারের জন্য সমস্ত নেতা-কর্মীরা তাকে আপন করে নিয়েছিলেন।
সিটি মেয়র বলেন, এস এম এ রবকে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়ায় প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছিলো। বিএনপি-জামায়াত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রব ও মঞ্জুরুল ইমামসহ আ’লীগের মেধাবী রাজনীতিকদের হত্যা করেছে। প্রাকৃতিক নিয়মেই আজ বিএনপি সকল অপকর্মের প্রতিদান পেয়েছে। তিনি দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, এস এম এ রব রাজনীতিতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন। রবের মত মানুষকে ভালোবেসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে বাস্তবায়ন করার জন্য দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছিলো। বিএনপি-জামায়াত অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে রব ও মঞ্জুরুল ইমামসহ আ’লীগের মেধাবী রাজনীতিকদের হত্যা করেছে। প্রাকৃতিক নিয়মেই আজ বিএনপি সকল অপকর্মের প্রতিদান পেয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগস্টে খুনিরা রক্তের হলি খেলায় মেতে ওঠে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় রাষ্ট্রে আইনের শাসন ছিলো না। তারা নির্বিচারে আওয়ামী লীগের নেতাদের হত্যা করেছে। তারা আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা করেছিলো। আজ দেশে সকল হত্যার বিচার কার্যক্রম চলছে। অর্থাৎ আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। খুনিরা অত্যন্ত চতুর। তাদের নামে মামলা হলে ওই মামলা তারা উচ্চ আদালতে স্ট্রে করে রাখে। আর ওই মামলা চলাচলের মত আর্থিক ও সামাজিক ক্ষমতা কারো থাকে না। তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি আহŸান জানিয়ে বলেন, সকল হত্যার নিরপেক্ষ তদন্ত করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। সরকার আপনাদের সব ধরনের সহায়তা করবেন।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে মহানগর আ’লীগ আয়োজিত দলের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম এ রবের ২৩তম শাহাদাৎবার্ষিকীর স্মরণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি। স্মরণ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন নগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, সদর থানা সভাপতি এাড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, এস এম আকিল উদ্দিন ও নগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ। নগর আ’লীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন আ’লীগ নেতা মলিক আবিদ হোসেন কবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাকসুদ আলম খাজা, এড. অলোকা নন্দা দাস, শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, কাউন্সিলর ফকির মোঃ সাইফুল ইসলাম, এড. শামীম আহমেদ পলাশ, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মো. শিহাব উদ্দিন, মোঃ সফিকুর রহমান পলাশ, এম এ নাসিম, এড. শামীম আহমেদ পলাশ, শেখ নজিবুল ইসলাম নজিব, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর রোজী ইসলাম নদী, কাউন্সিলর জিয়াউল আহসান টিটু, নুরিনা রহমান বিউটি, নুর জাহান রুমি, মেহজাবিন খান, রেজওয়ানা প্রধান, মাজহারুল ইসলাম লেলিন, হাবিবুর রহমান দুলাল, সেলিম আহমেদ, মলিক নওশের আলী, আব্দুল ওহাব, আকরাম সরদার, মাসুদ হাসান সোহান, জহির আব্বাস, ইয়াসির আরাফাত, ওমর কামালসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
স্মরণ সভার শুরুতে মরহুম এস এম এ রবের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। স্মরণ সভা শেষে এস এম এ রবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা রফিকুল ইসলাম ও হাফেজ আব্দুর রহীম।