দেশের তথ্য ডেস্ক:- খুলনার বটিয়াঘাটার সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার না করলে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার ঘটনায় জিডির সত্যতা পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তিন আসামির জামিন বাতিল করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) সকালে খুলনার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হাদিউজ্জামান এই আদেশ দেন। আদেশের পর তিন আসামিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।
আসামিরা হলেন- বটিয়াঘাটা তেঁতুলতলা এলাকার নূর আলমের স্ত্রী রঞ্জি বেগম (৪০), ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ (২২) ও মেয়ে নুপুর খাতুন (২৫)। আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়। এ মামলার আরেক আসামি নূর আলম গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী মনজিলুর রহমান বলেন, নারী ফুটবলারদের মারধরের মামলায় তিন আসামি আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তারা জামিনে থাকা অবস্থায় বাদীপক্ষকে হুমকি-ধামকি দেওয়ায় বাদীপক্ষ থানায় জিডি করে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় আদালত আসামিদের আজ হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ দেন। আসামিরা আদালতে হাজির হলে উভয়পক্ষের মধ্যে শুনানি হয়। জামিনে থাকা অবস্থায় শর্তভঙ্গ করায় আসামিদের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
আদালত তার পর্যবেক্ষণে বলেন, হত্যা প্রচেষ্টা মামলার জামিনে থাকা তিন আসামি তাদের জামিনের সকল শর্ত ভঙ্গ করেছে। তারা পরস্পর যোগসাজশে হত্যা প্রচেষ্টা মামলার বাদি সাদিয়া নাসরিন ও অন্য ভুক্ত ভোগিদেরকে মামলা তুলে না নিলে এসিডে শরীর ঝলসে দেয়ার হুমকি দেয়। যা পুলিশি তদন্তে প্রমাণিত। বাদি ও অপর ফুটবলারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই জামিন বাতিলের আদেশ দেয়া হলো।
গত ২৭ জুলাই বটিয়াঘাটার একটি একাডেমিতে অনুশীলন চলাকালে প্রতিবেশী নূপুর মোবাইলে ফুটবলার সাদিয়ার ছবি তুলে তার পরিবারকে দেখিয়ে অপদস্থ করে। ২৯ জুলাই বিষয়টি নূপুরের পরিবারকে জানাতে গেলে বাগবিতণ্ডা ও হামলার শিকার হন সাদিয়া ও তার সতীর্থরা। ২৯ জুলাই সাদিয়া নাসরিন বাদী হয়ে বটিয়াঘাটা থানায় ৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। বাকি তিন আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাইরে ছিলেন।
বাদীপক্ষের অভিযোগ, বাইরে থাকা আসামিরা মামলা তুলে নিতে ভয়-ভীতি দেখায় এবং বাদীর ওপর এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেন। এ ঘটনায় ৩১ জুলাই বটিয়াঘাটা থানায় আবার সাধারণ ডায়েরি করেন বাদী।