দেশের তথ্য ডেস্ক:-
ভিকটিম মোঃ মুক্তার হোসেন, সাং- ডুমদিয়া, থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোর একজন ট্রাকের হেলপার ছিলেন। গত ইং ২৪/০২/২০১৪ তারিখে রাতে ভিকটিম মোঃ মুক্তার হোসেনকে মোবাইলে কল দিয়ে কেউ একজন বাড়ি থেকে বাইরে আসতে বলে। মুক্তার হোসেন তার স্ত্রীকে জানিয়ে বাইরে চলে যায়। কিন্তু সেদিন রাতে ভিকটিম মোক্তার হোসেন বাড়িতে আর ফিরে নাই। পরবর্তীতে ইং ২৫/০২/২০১৪ তারিখ সকালে যশোর কোতয়ালী থানা পুলিশ ভিকটিমের স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায় যে, ভিকটিম মুক্তার হোসেনের মরদেহ যশোর সদর হাসপাতালে আছে। খবর পেয়ে ভিকটিমের স্ত্রী ও ছেলে যশোর সদর হাসপাতালে গিয়ে সাক্ষীদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন দেয়াড়া এলাকার মিন্টু সহ অন্যান্য সহযোগী ৪/৫ জন ব্যক্তি ভিকটিম মুক্তার হোসেনকে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের স্ত্রী বাদী হয়ে যশোর কোতয়ালী থানায়েএকটি হত্যা মামলা দায়ের করলে আসামী মিন্টু (৫৫) দীর্ঘদিন যাবত আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে বেড়াতে থাকে। পরবর্তীতে র্যাব-৬, যশোর গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৮ আগস্ট ২০২৩ তারিখ দুপুরে র্যাব-৬, যশোর ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর জেলার কোতয়ালী থানাধীন দেয়াড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার মূল আসামী (ক) মিন্টু (৫৫), থানা- কোতয়ালী, জেলা- যশোরকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ট্রাকের হেলপার মুক্তার হোসেন হত্যা মামলার পলাতক মূল আসামী মিন্টুকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬।