নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে উপকৃলসহ পাইকগাছায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ

satkhira-1.jpg

শাহরিয়ার কবির,নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বঙ্গোপ সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকৃলসহ পাইকগাছাার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে টানা ৭দিনের হালকা ও ভারি বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে। তবে বৃষ্টিপাতে আমন আবাদে চাষীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। পরিবেশ-প্রকৃতি ও কৃষির জন্য আশীর্বাদ হিসেবে দেখছেন সবাই। তাই নতুন করে আমন চাষে শুরু করেছে কৃষকরা। তারা আমন চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছে।

বুধবার পর্যন্ত টানা ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে শ্রমজীবীরা কাজ করতে পারেনি। গত কয়েক দিনের গুড়িগুড়ি, হালকা,মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিরামহীনভাবে বুধবার পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম কিছুটা ব্যাহত হয়। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।নিচু এলাকার সবজী ক্ষেতগুলোর কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করে মেরামত করা হচ্ছে। পৌর বাজারে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে বীজতলা ও সদ্য রোপনকৃত আমন ধানের উপকার হবে। আমন চারা রোপন চলছে। আমনের চারা রোপনের সময় রৌদ্র ও অনাবৃষ্টি থাকা কৃষকদের পানি সেচ দিয়ে জমি তৈরী করতে হয়। এই বৃষ্টি লবণাক্ত এ এলাকার আমন আবাদে অনেক উপকার হবে। এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতিতো হবে না আরো উপকার হবে।বৃস্টি হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে তিনি জানান।

পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমায় ভারি বৃস্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে উঠে পড়েছে।পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে।তবে কোন বেড়ীবাধ ভাঙ্গেনি।

Share this post

PinIt
scroll to top