দেশের তথ্য ডেস্ক :- টানা পাঁচ দিন ধরে চলা ভারি বর্ষণে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়াসহ কয়েকটি পাহাড়ে ধসের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও জলাবদ্ধতায় ট্রেন লাইনের ওপরে পানি উঠে যাওয়ায় সাময়িকভাবে বন্ধ আছে শাটল ট্রেন। কয়েকদিনের টানা বর্ষণে গতকাল রবিবার (৬ আগস্ট) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পাহাড় ধস এবং গাছ উপড়ে পড়ে।
জানা যায়, টানা ৫ দিন ধরে চলা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহী কলোনির একটি বাসার ওপর পাহাড় ধসে পড়ে।
এতে পুরো বাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং একজন আহত হন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তর সংলগ্ন একটি পাহাড় এবং কাঁটা পাহাড়ের পাদদেশেও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে রাস্তার ওপরে মাটি জমা হয়ে সাময়িক ভাবে বন্ধ আছে রাস্তা।
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের পেছনের পাহাড়েও ধস হয়েছে।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলপকুর পাড়ে পাহাড় ধসে অর্ধেক রাস্তা বন্ধ আছে। ধসের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় গাছ, বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়েছে। ক্যাম্পাসের তিন নম্বর গোডাউনের পেছনে, স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনেসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
অন্যদিকে জলাবদ্ধতার কারণে আজ সোমবার সকালে একটি শাটল ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশনে আটকা পড়ে।
অন্যদিকে আরেকটি ট্রেন নগরীর ষোলশহরে ছিল। এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়গামী কোনো ট্রেনই আর ক্যাম্পাসে এসে পৌঁছাতে পারেনি।
চবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক বলেন, শাহী কলোনির একটি বাসার ওপর পাহাড় ধসে বড় গাছ পড়ে বাড়িটি পুরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আল্লাহর রহমতে এতে মারাত্বক কোনো আহতের ঘটনা ঘটেনি। আমরা তাদের সেখান থেকে সরে বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে আশ্রয় নিতে বলেছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা আগেও মাইকিং করেছিলাম পাহড়ের পাদদেশে থাকা সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে। আজ আবার মাইকিং করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, টানা বর্ষণে যেখানে সেখানে গাছ পড়েছে, রাস্তা ব্লক হয়ে আছে। তবে আমরা সেগুলো সরানোর ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছি। পাহাড় ধসে একজন মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আমাদের পক্ষ থেকে যতটা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত আমরা তা নিচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, রেললাইনের ওপরে পানি উঠে গেছে। ট্রেন ফতেয়াবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসে আর চলতে পারেনি। তাই ট্রেন চলাচল আপাতত বন্ধ আছে।