খুলনায় নারী ফুটবলারদের মারধরে সরব জাতীয় দল।।

nari-football.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক খুলনা প্রতিনিধি :-  খুলনায় নারী ফুটবলারদের মারধরের ঘটনায় সরব হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যরা।কিশোরী ফুটবলারদের মারধর এবং হুমকির সাথে জড়িতদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন কৃষ্ণা রানি-সানজিদা আক্তাররা। সেইসঙ্গে দেশের নারী ফুটবলারদের নিরাপত্তার ইস্যুতেও সরব হয়েছেন জাতীয় দলের তারকা ফুটবলাররা।

সম্প্রতি খুলনায় ফুটবল প্র্যাকটিস চলাকালে কিশোরী ফুটবলার সাদিয়া নাসরিন এবং তার পরিবারের সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় নূপুর খাতুনের পরিবার। মেয়েদের কেন ফুটবল খেলতে দেয়া হচ্ছে এই ইস্যুতেই বিবাদের সূত্রপাত ঘটে। পরবর্তীতে সাদিয়া নাসরিনের পরিবারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানাতে গেলে মারধরের শিকার হন ফুটবলাররা। এতে চারজন নারী ফুটবলার আহত হয়েছেন।

নারী ফুটবলারদের এমন অবস্থা ও শারীরিকভাবে আহত হওয়ার বিষয়টি নজরে এসেছে জাতীয় নারী ফুটবল দলের সদস্যদের। জাতীয় দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় কৃষ্ণা রানি সরকার ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবি তুলেছেন, ‘খুলনার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি। আমি প্রশাসন ও সর্বোচ্চ মহলে এর বিচার চাই। যারা মেয়েদের ছবি তুলেছে। শারীরিকভাবে আঘাত করেছে, অ্যাসিড মারার হুমকি দিয়েছে, তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে, যেন ভবিষ্যতে এমন কিছু করার সাহস কেউ না পায়।’

জাতীয় দলের আরেক ফুটবলার সানজিদা আক্তারের কণ্ঠেও ঝরলো আক্ষেপের সুর, ‘বাংলাদেশে মেয়েদের খেলাধুলা বিশেষ করে ফুটবল অনেক দূর এগিয়েছে। এই সময় এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। মেয়েরা তো খেলাধুলাই করছে, কোনো অন্যায় তো করছে না। ফুটবল খেলার জন্য মেয়েদের ওপর হামলা, তাদের নিগ্রহ, ভীষণ লজ্জার বিষয়।’

খুলনার ঘটনায় কথা বলতে গিয়ে নিজ এলাকার কথাও স্মরণে এনেছেন জাতীয় দলের এই ফুটবলার, ‘আমরা যখন ফুটবল খেলতাম, তখন এলাকার মানুষ যে সেটি খুব ভালো চোখে দেখত, তা বলব না। কিন্তু আমাদের দিয়ে যখন সারা দেশের মানুষ কলসিন্দুরকে চিনল, তখন মেয়েদের ফুটবল নিয়ে সবার ধারণা পাল্টে যায়। আমরা ভালো খেলেছি বলেই একসময় অন্ধকারে ডুবে থাকা গ্রামটিতে বিদ্যুৎ গিয়েছে। আমাদের এলাকার মানুষ এটি সব সময় মনে রাখে।’

উল্লেখ্য, খুলনায় ফুটবলারদের মারধরের ঘটনায় এরইমাঝে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করেছে। ফুটবলারদের পরিবারের মামলার প্রেক্ষিতে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলার আরও তিন আসামি আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।

Share this post

PinIt
scroll to top