দেশের তথ্য ডেস্ক সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :-
সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি থানাধীন ভিকটিমের পিতার একটি মাছের ঘেরে ভিকটিম তার বাবার জন্য খাবার নিয়ে যেত। ঘেরে বাবার জন্য খাবার নিয়ে যাওয়া আসার পথে একই গ্রামের আসামী রবিউল ইসলামের ভিকটিমের উপর কুনজর পড়ে। এক পর্যায় ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসের কোন একদিন সন্ধ্যায় ভিকটিম তার বাবার খাবার দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধ্যার দিকে আসামী রবিউল ইসলাম ভিকটিমের মুখে ওড়না দিয়ে চেপে ধরে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। সে সময় ভিকটিমের পরিবার লোকলজ্জার ভয়ে তাৎক্ষনিক ঘটনাটি তারা চেপে যায়। কিন্তু কয়েক মাস পরে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে যায়। গত ২৯ জুন ২০১০ সালে ভিকটিমের পিতা বাদি হয়ে ধর্ষক রবিউল ইসলামকে আসামী করে আশাশুনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিচারকার্য শেষে ঘটনার সত্যতা প্রমানিত হওয়ায় বিজ্ঞ আদালত আসামী রবিউল ইসলামকে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। পরবর্তীতে র্যাব গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে উক্ত আসামীর অবস্থান নিশ্চিত করে।
এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ০৪ আগষ্ট ২০২৩ তারিখ র্যাব-৬, (স্পেশাল কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কেএমপি খুলনার লবনচরা থানাধীন আদিউজ্জামান সড়ক এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষন মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী ১। মোঃ রবিউল ইসলাম ঢালী, থানা-আশাশুনি, জেলা-সাতক্ষীরা’কে গ্রেফতার করে।
পরবর্তিতে গ্রেফতারকৃত আসামীকে সাতক্ষীরা জেলার আশশুনি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।