সেবা প্রত্যাশীদের সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ কেএমপি কমিশনারের

komisonar-1.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক :-  কেএমপি’র সদ্য যোগদানকৃত কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বিপিএম (বার) পিপিএম-সেবা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সেবা প্রত্যাশীদের সাথে উত্তম আচরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টায় বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্সের মাল্টিপারপাস হলে বিশেষ কল্যাণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এ নির্দেশনা দেন।
সভায় পুলিশ কমিশনার তার বক্তৃতায় সকল পদ মর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে সঠিকভাবে ইউনিফর্ম পরিধান এবং উত্তম টার্নআউট মেনে চলা, সমস্ত ইউনিট এবং অফিস সমূহে রোল কলের ব্যবস্থা করা ও পাশাপাশি অস্ত্রাগার, ক্লথিং স্টোর, রেশন স্টোরের ইনচার্জ ও মেস ম্যানেজারদেরকে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেন। পুলিশ কমিশনার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে বিশেষ অভিযান পরিচালনা, পুলিশ সদস্যদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা, চেইন অব কমান্ড ফলো করতে সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং ফোর্সদের বিশেষভাবে নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি শরীর ও মন সুস্থ রাখার জন্য পিটি প্যারেডের ব্যবস্থার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা বাড়ানো এবং দুর্ঘটনা হ্রাসকরণ, যানজট নিয়ন্ত্রণসহ ট্রাফিক শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা দেন।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে শোকাবহ আগস্টের সূচনালগ্নে আয়োজিত বিশেষ কল্যাণ সভার কার্যক্রম শুরু হয়।

সভার শুরুতে সঞ্চালক অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার (সদর) সোনালী সেন পিপিএম-সেবা কেএমপি’র সদ্য যোগদানকৃত কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হকের সংক্ষিপ্ত জীবন বৃত্তান্ত আলোকপাত করেন। এরপর পুলিশ কমিশনার বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের সমস্যার কথা অত্যন্ত মনোযোগ সহকারে শ্রবণ এবং তাদের বিভিন্ন দাবি এবং প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক নির্দেশ দেন।

পুলিশ কমিশনার তার বক্তব্যের শুরুতে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি ইতিহাসের মহানায়ক ও স্বাধীনতা যুদ্ধের মহান স্থপতি বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সকল শহিদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। একই সাথে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের প্রথম প্রহরে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধে শহিদ সকল পুলিশ সদস্যসহ ত্রিশ লক্ষ শহিদ মুক্তিযোদ্ধার আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে রুহের মাগফিরাত কামনা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো দুই লক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

বিশেষ কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কেএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম-সেবা; অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন; অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন; ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল­া জাহাঙ্গীর হোসেন; ডেপুটি কমিশনার (সদর) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন; বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম পিপিএম-সেবা; ডেপুটি কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ পিপিএম; ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) বি এম নুরুজ্জামান বিপিএম; ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; ডেপুটি কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম; ডেপুটি কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু; ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা; ডেপুটি কমিশনার (আরসিডি) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজী এবং বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতাল, খুলনার ভারপ্রাপ্ত তত্ত¡াবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম-সহ অতিরিক্ত ডেপুটি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, সহকারি পুলিশ কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ, সাব-ইন্সপেক্টরবৃন্দ, এএসআইবৃন্দ, কনস্টেবলবৃন্দ এবং কেএমপিতে কর্মরত সিভিল স্টাফবৃন্দ।

Share this post

PinIt
scroll to top