জিয়া পরিবারকে জাতীয় নির্বাচন থেকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র —দাবি বিএনপির
নয়াপল্টনে বিক্ষোভ, শুক্রবার ঢাকায় সমাবেশের ডাক বিএনপির
আদালতে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীদের হাতাহাতি
সরকারপ্রধান নির্বাচনে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চান
মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব
বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার সরকার ষড়যন্ত্রে বিভোর
মুজিবুর রহমান
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির
জিয়া পরিবারকে বিনাশ ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এ রায়
অলি আহমদ
প্রেসিডেন্ট, এলডিপি
১৬ কার্যদিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্য, এ রায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত
কায়সার কামাল
আইন-বিষয়ক সম্পাদক, বিএনপি
সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। খালেদা জিয়ার বড় ছেলে এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আগেই চার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। ১৫ বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেকের বিরুদ্ধে এ নিয়ে পাঁচ মামলায় সাজার রায় এলো। মা ছেলে আগেই নির্বাচনে অযোগ্য হয়েছিলেন। ভোটের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ নেই। আলোচনায় থাকা বাকি ছিলেন তারেক রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। এবার তিনিও দণ্ডিত হয়েছেন। ফলে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিয়া পরিবার থেকে নেতৃত্ব দেয়া প্রধান তিনজনই জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী দণ্ডযোগ্য ব্যক্তিদের নির্বাচনে যাওয়া সুযোগ নেই।
গতকাল বুধবার আদালতের দেয়া রায়ে তারেকের ৯ বছর ও জুবাইদার তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। কারাদণ্ডের পাশাপাশি দুজনকেই জরিমানা করা হয়েছে, সেই সঙ্গে অপ্রদর্শিত সম্পদ হিসাবে দুই কোটি ৭৫ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অবৈধ সম্পদ অর্জনে তারেক রহমানকে সহায়তা করার অপরাধে জোবাইদা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে (ঘ)তে বলা হয়েছে, ‘তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হইয়া অন্যূন দুই বৎসরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তাহার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বৎসরকাল অতিবাহিত না হইয়া থাকে; তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।’ জোবাইদা রহমান দুই বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার কারণে সংবিধানের ধারা অনুযায়ী তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে আগামী নির্বাচনে তিনি দেশে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না বা প্রার্থী হতে পারবেন না। তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ওয়ান-ইলেভেনের সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা ওই মামলা দীর্ঘদিন হাইকোর্টে স্থগিত ছিল। গত বছর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার পর মামলাটি আবার সচল হয়।
রায়কে কেন্দ্র করে সকাল ১০টার পর থেকেই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের সামনে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন। সরকারবিরোধী নানা স্লোগান দেন তারা। রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে বিএনপি ও আওয়ামীপন্থি আইনজীবীরা হাতাহাতিও করেছেন। এ ছাড়া নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি। আগামীকাল শুক্রবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশের ঘোষণাও দেয়া হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম বলেন, তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানকে দণ্ড দেয়ার প্রতিবাদে আগামীকাল শুক্রবার বেলা ২টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে। তিনি বলেন, এই রায় শেখ হাসিনার নির্দেশে দেয়া হয়েছে।
রায়ের পর বিএনপির আইন-বিষয়ক সম্পাদ কায়সার কামাল বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছিল। এখন সেই মামলায় দণ্ডাদেশ দেয়া হলো। মাত্র ১৬ কার্যদিবসে ৪২ জনের সাক্ষ্য নিয়ে রায় ঘোষণার বিষয়টি প্রমাণ করে, এই মামলা কতটা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাবে তারেক-জুবাইদার রায় —রিজভী : বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচারকরা তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে ফরমায়েশি রায় দিয়েছে তা কালবৈশাখী ঝড়ে উড়ে যাবে। তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই রায় দেয়া হয়েছে। গতকাল বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও জুবাইদা রহমানকে আদালতের দেয়া সাজার প্রতিবাদে নয়াপল্টনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। সমাবেশে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেন, দেশের গণতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের কারণে শেখ হাসিনার বিচার হবে এক দিন এই দেশের মাটিতে। শেখ হাসিনাকে হটিয়ে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। বিক্ষোভ মিছিলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, উত্তরের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক-বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, ছাত্র-বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, কেন্দ্রীয় নেতা মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, নাজিম উদ্দিন আলম, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসানসহ বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড বিএনপি নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণার ষড়যন্ত্রে বিভোর সরকার —জামায়াত : বর্তমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার ষড়যন্ত্রে বিভোর রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। গতকাল রাজধানীতে ‘দেশে বিদ্যমান সংঘাতমুখর রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার দাবি’তে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি। সামনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উল্লেখ করে মুজিবুর রহমান বলেন, নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু সরকার জনগণের দাবি অগ্রাহ্য করে একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের দোষী সাব্যস্ত করে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করার ষড়যন্ত্রে বিভোর। এ জন্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে রাত ৯টা পর্যন্ত সাক্ষী গ্রহণ করা হয়েছে।
তারেক-জোবাইদাকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে —আইনমন্ত্রী : বিদেশে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত মঈন ইউ আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি করা হয়। ওই মামলার পর হাইকোর্ট এবং আপিল বিভাগ অর্থাৎ সর্বোচ্চ আদালত দ্বারা এই মামলা চলবে এমন রায়ের পর মামলার বিচারিক কাজ সম্পন্ন শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হলো। আমি মনে করি, বাংলাদেশে যে আইনের শাসন আছে এটি তারই প্রতিফলন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর ছেলে যদি এমন দুর্নীতি করে তাহলে এমন সাজাই হওয়া উচিত। আদালতের দায়িত্ব আদালত পালন করেছেন।
সরকারপ্রধান নির্বাচনে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চান —মির্জা ফখরুল : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারপ্রধান নির্বাচনে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাখতে চান। সে জন্য আইন-আদালত ও প্রশাসনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে রাজনৈতিক প্রধান প্রতিপক্ষকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর হয়েছেন। আজ এই ফরমায়েশি রায় দেয়ার ঘটনা দেশকে গণতন্ত্র শূন্য করার ধারাবাহিক চক্রান্তের অংশ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সাজা দেয়াটা আওয়ামী দুঃশাসনের কোনো ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে কারো মনে হয়নি। অবৈধ আওয়ামী সরকারের ফরমায়েশি রায়ের আরেকটি দৃষ্টান্ত স্থাপিত হলো। বিচার বিভাগের দলীয়করণের এটি আরেকটি নিকৃষ্ট নজির। গতকাল সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রায় পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান এবং তার স্ত্রীকে যে সাজা দেয়া হবে তা নিয়ে কারো সংশয় ছিল না। কারণ আওয়ামী কর্তৃত্ববাদী শাসনে বিরোধী দলের প্রধান নেতাদের নির্মূল করতে যেভাবে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করা হয়, সেই নীলনকশা ধরেই সরকারপ্রধান এগিয়ে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রক্ষমতা আঁকড়ে রাখা আওয়ামী সরকার তাদের কোনো প্রতিপক্ষ রাখতে চায় না।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ দেশজুড়ে বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে শুধু নব্য বাকশালী দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী রাখতে। সে জন্য আইন-আদালতকে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের এক দমনযন্ত্র হিসেবে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হচ্ছে। বিবেকবান বিচারক, ন্যায়বিচার করার কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে মামলা থেকে খালাস দেয়ায়, সেই বিচারক মোতাহার আর দেশে থাকতে পারেননি। সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা বিচার বিভাগে সরকারি হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে ‘গানপয়েন্টে’ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, এই রায় যে শেখ হাসিনার নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে, তার বড় প্রমাণ আদালতে প্রায় ৪৯ লাখ মামলার জট থাকলেও আলোর গতিতে চলেছে এ মামলার কার্যক্রম। রাত ৮টা ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাজানো সাক্ষীকে দিয়ে শেখানো বুলি বলানো হয়েছে আদালতে। এক মাসে এই মামলাটির জন্য প্রতিদিন শুনানি করে ৪২ জন সাক্ষী দ্রুত গতিতে নিজেরা নিজেরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন।
ফখরুল বলেন, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনীর বহুল আলোচিত হত্যা মামলা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৯৯ বার পেছানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ৭৩ বার পেছানো হয়েছে। এরকম বহু আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর মামলা হিমাগারে ফেলে রেখে তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে এই সাজানো মিথ্যা মামলার কার্যক্রম এক মাস ২০ দিনে শেষ করা ও আদেশ দেয়ার মানে হলো জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে নির্মূল করা। প্রধানমন্ত্রী হিংসার প্রয়োগে দ্বিধা করেননি। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।
জিয়া পরিবারকে বিনাশ ও নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে এ রায় —অলি আহমদ : লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ (বীর বিক্রম) বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেয়াটা দেশে বিরোধীদল শূন্য করার অপপ্রয়াস। এই রায়ের ফলে বিচার বিভাগ প্রমাণ করেছে তারা স্বাধীন নয়। বর্তমান সরকার আদালতকে তার কাজ সঠিকভাবে করতে দিচ্ছে না। তাদের প্রভাবিত করা হচ্ছে। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। কর্নেল অলি বলেন, আজকের ফরমায়েশি রায় জিয়া পরিবারের প্রতি সরকারের হিংসা ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। ২০০৭ সালে ওয়ান-ইলেভেনের জরুরি সরকার আ.লীগের অনেক নেতার নামে যৌক্তিক মামলা করেছিল। আ.লীগ ক্ষমতায় এসে তাদের মামলা তুলে নিয়ে বিএনপি ও বিরোধীদলের মামলা সচল রেখে অন্যায়ভাবে তাদের সাজা দিচ্ছে। তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে যে মামলাটি দিয়েছে সেটি সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক অভিযোগে করা। জিয়া পরিবারকে বিনাশ এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে, তারেক রহমানের জনপ্রিয়তা ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য তারে সাজা দেয়া হয়েছে।