দেশের তথ্য ডেস্ক রাজশাহী প্রতিনিধি :- শতবর্ষী এক মা, তিনি বয়সের ভারে ন্যুজ, ঠিকমত চলাফেরা করতে পারেন না। অন্যের সাহায্য নিয়ে তাকে চলতে হয়। ঠিকমত কানেও শুনতে পান না। তবে বুঝতে পারেন। সবাইকে চিনতে না পারলেও নিজের ছেলেদের চিনতে পারেন। কাছে আসলে তাদের ঘায়ে হাত বুলিয়ে দেন। সেই মা জানতে পারেন নাই যে, তার এক ছেলেকে আজ রাতে তার অপরাধের জন্য ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে।
জানা যায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক ড. তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় আসামি ড. মিয়া মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীর আলমের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ১০টা এক মিনিটে ফাঁসি কার্যকর হবে। এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহী কারা কর্তৃপক্ষ।
এর আগে, গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত পরিবারের সদস্যরা দণ্ডপ্রাপ্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। তবে ছেলের ফাঁসির বিষয়ে কিছুই জানেন না মহিউদ্দিনের মা। শতবর্ষী ওই বৃদ্ধা কানে না শোনায় তাকে কিছুই জানানো হয়নি।
মহিউদ্দিনের ভাই গণ মাধ্যমকে জানান, ‘মা এখনো জানেন না যে তার ছেলে আজ রাতেই ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলছে। পরিবারের কেউ তাকে কিছু বুঝতেও দিচ্ছেন না। বাড়িতে কোনো সংবাদকর্মী বা কোনো আত্মীয়-স্বজনের সমাগম দেখলেই তিনি জানতে চাবছেন কীজন্য এসেছেন আপনারা। মা খবর শুনলে স্ট্রোক করতে পারেন এজন্যই তাকে কিছুই বলা হয়নি।’
গত মঙ্গলবার মহিউদ্দিনের সঙ্গে কারাগারে শেষ দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। তার সঙ্গে শেষ কথা কী হয়েছে এ বিষয়ে মহিউদ্দিনের চাচাতো ভাই ছিকু মিয়া বলেন, ‘কারা কর্তৃপক্ষ আমাদের শেষ দেখা করার জন্য সময় দেন মঙ্গলবার দুপুর ১২টায়। আমরা সেখানে দেখা করেছি ৫ জন। মহিউদ্দিনের স্ত্রী, ভাই আরজু মিয়া, বোন রিনা বেগম, আমি ও আরেক চাচাতো ভাই শাহীন মিয়া।’