দেশের তথ্য ডেস্ক ঢাকা প্রতিনিধি :- অভিষেকটা ছিল হলিউডের নায়কোচিত রোমাঞ্চ ছড়িয়ে। ইনজুরি টাইমে বাঁকানো ফ্রি কিকে জয় এনে দিয়েছিলেন ইন্টার মায়ামিকে। বুধবার ভোরে দ্বিতীয় ম্যাচে আরো উজ্জ্বল লিওনেল মেসি। লিগস কাপে তাঁর দ্যুতিতে আটলান্টা ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত করল মায়ামি।
মেসি করেছেন জোড়া গোল, অ্যাসিস্টও একটি। পা রেখেছেন অনন্য এক মাইলফলকেও। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে ১০০ ক্লাবের বিপক্ষে গোল করলেন আর্জেন্টাইন খুদে জাদুকর।
মেসির গোলের শুরুটা হয়েছিল ২০০৫ সালে।
সে বছরের ১ মে বার্সেলোনার আলবাসেতের বিপক্ষে গোলটা স্বীকৃত ম্যাচে মেসির প্রথম। গোল করায় ২০০৮ সালে স্কটল্যান্ডের সেল্টিক ছিল ২৫তম, ২০১১ সালে চেক প্রজাতন্ত্রের ভিক্তোরিয়া প্লজেন ৫০তম, ২০১৮ সালে ইংল্যান্ডের টটেনহাম ৭৫তম আর যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টা ১০০তম ক্লাব। লা লিগায় কাটিয়েছেন ক্যারিয়ারের প্রায় পুরোটা। তাই সর্বোচ্চ গোল ৪১টি স্প্যানিশ ক্লাবের বিপক্ষে।
এ ছাড়া মেসির গোলের তালিকায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি ক্লাব ফ্রান্সের, জার্মানির সাত, ইংল্যান্ডের ছয়, ইতালির চার আর পর্তুগালের ক্লাব তিনটি। দুটি করে গোল আছে সাতটি দেশের ক্লাবের বিপক্ষে। আর একটি করে গোল করেছেন ১০ দেশের ক্লাবের সঙ্গে।
মেসির প্রিয় প্রতিপক্ষ সেভিয়া। সর্বোচ্চ ৩৮ বার বল পাঠিয়েছেন এই ক্লাবের জালে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩১ গোল অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে। বুধবার অষ্টম মিনিটে বার্সেলোনার সাবেক সতীর্থ সের্হিয়ো বুসকেটসের কাছ থেকে নিখুঁত পাস পেয়ে শট নিয়েছিলেন মেসি। বল পোস্টে লাগলেও তাঁর ফিরতি শট জড়ায় জালে। গোলটা নিয়ে বুসকেটস জানিয়েছেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন বার্সায় একসঙ্গে খেলেছি। ওর চোখের দিকে তাকালেই বুঝতে পারি কোথায় থাকবে আর কী চাইছে।’
মেসি দ্বিতীয় গোলটি বক্সের ভেতর থেকে ২২ মিনিটে করেন টেইলরের কাছ থেকে বল পেয়ে। এরপর মায়ামির অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহামের দিকে তাকিয়ে ইঙ্গিত করেন কিছু একটা। বেকহামও জবাব দেন চওড়া হাসিতে। মেসির দুটি গোলই ছিল ডান পায়ে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে লেভান্তের বিপক্ষে লা লিগায় জোড়া গোল করেছিলেন ডান পায়ে। ম্যাচ শেষের ১৩ মিনিট আগে মেসিকে তুলে নেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো। বেশির ভাগ দর্শক গ্যালারি ছেড়ে যান তখনই! তাই মার্তিনোর আবেদন, ‘মেসির আকর্ষণ আমি জানি, কিন্তু ওর পুরো ৯০ মিনিট খেলার দরকার নেই। দর্শকদের অনুরোধ করব শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে।’