দেশের তথ্য ডেস্ক ঢাকা প্রতিনিধি :- কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা, আমীরে জামায়াত ডা: শফিকুর রহমান সহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ ও ওলামায়ে কেরামের মুক্তি এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ন্ত্রণের দাবিতে আগামী ১লা আগষ্ট জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণ শাখার সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বুলবুল বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে যদি সামান্যতম নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় তাহলে কোনো ভাবেই তারা বিজয়ী হতে পারবেনা। এজন্যই তারা নির্বাচনের নামে আরও একটি প্রহসন বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করতে মরিয়া হয়ে গেছে। তাই আমাদের সংগ্রাম কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচনের করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জামায়াতের আন্দোলন হচ্ছে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের ভারপ্রাপ্ত আমীর আব্দুর রহমান মুসা, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে দেলওয়ার হোসেন, কামাল হোসাইন, ড. আব্দুল মান্নান। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরীর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী যথাক্রমে নাজিম উদ্দীন মোল্লা, ডা. ফখরুদ্দিন মানিক, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন, আব্দুস সালাম, মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য আতাউর রহমান সরকার, মুহাম্মদ মুহিব্বুল্লাহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বর্তমান সরকার দেশ পরিচালনায় সার্বিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করেছে। আমাদের আন্দোলন চলছে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। দফায় দফায় ভোজ্য তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে দেশের মানুষ আজ দিশেহারা। ১লা আগস্টের সমাবেশ হচ্ছে সবকিছু নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে জনগণের ক্রয় ক্ষমতাকে ফিরিয়ে দেওয়ার সমাবেশ। এদেশের জনগণ এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দিন অতিবাহিত করছে। রাতের ভোটে ক্ষমতা দখলকারী এই অবৈধ সরকার বুঝতে পেরেছে, তিনি রাজধানীর সকল পেশার মানুষকে দলে দলে এই সমাবেশে যোগদান করার জন্য উদাত্ব আহবান জানান।
তিনি আরও বলেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার ও বন্দী করে রেখেছে। অবিলম্বে দেশের মানুষের বিপদ ও দুর্যোগে মানবিক সহায়তা নিয়ে ছুটে চলা আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান সহ গ্রেফতারকৃত সকল জামায়াত নেতৃবৃন্দ ও আলেম ওলামাদের মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে তাদের মুক্তি নিশ্চিত করা হবে। তিনি বলেন, আমরা ১লা আগষ্টের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নের জন্য ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের যৌথ সভায় বহুমুখী পরিকল্পণা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন কমিটি, উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে ঢাকা মহানগরীর সর্বস্তরের জনশক্তিকে সম্পৃক্ত করতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি আগামী মঙ্গলবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে যে শান্তিপুর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা গুলো আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করবে। এটা তাদের নৈতিক দায়িত্ব।
আব্দুর রহমান মুসা বলেন, দেশের জনগণ আজ তাদের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরে পেতে চাই। ক্ষমতাসীন সরকারের অব্যবস্থাপনায় সাধারণ মানুষের জীবনযাপন দুর্বিসহ হয়ে গেছে। এই অসহনীয় অবস্থায় আমরা জনগণের দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজপথে নামতে বাধ্য হয়েছি। দেশের মানুষ এই ব্যর্থ সরকারের কবল থেকে মুক্তি চাই, জনগণ জুলুমবাজদের কবল থেকে মুক্তি চাই। জনগণের মুক্তির জন্য, দেশকে অপশাসন ও দুঃশাসন হতে মুক্ত করতে আগামী ১লা আগস্ট ঢাকায় জামায়াতের সমাবেশ। আমরা নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বাস্তবায়নে পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছি।