দেশের তথ্য ডেস্ক খুলনা প্রতিনিধি :- চিংড়ি উৎপাদন ও রপ্তানির রাজধানী বলে খ্যাত খুলনাঞ্চলের সাতটি হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের চিংড়িতে ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হয়েছে। আমদানিকারক দেশগুলো উৎপাদিত চিংড়িতে ভাইরাস ও লোহার স্ক্রু পাওয়া গেছে বলে মাছ কোম্পানিগুলোকে নোটিশ দিয়েছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য ধরার পর আমদানিকারক দেশগুলো ১০ ধরনের পরীক্ষা নীরিক্ষা শুরু করেছে। চিংড়ি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে খুলনাঞ্চলের খামার, ডিপো ও হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পর্যবেক্ষণ করবে।
মৎস্য পরিদর্শন ও নিয়ন্ত্রণ, খুলনা কার্যালয়ের সূত্র জানায়, ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আমদানিকারক দেশ ইউরোপ ও আমেরিকায় ক্যামিক্যাল টেস্টের পর এ অঞ্চলের উৎপাদিত হিমায়িত খাদ্যে অপদ্রব্য আছে বলে শনাক্ত করা হয়েছে। অপদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে বিভা ভাইরাস, ম্যালাকাইট নামক এন্টিবায়োটিক, সেমি কার্বারাইড, স্যালমোনিয়অ নামক ব্যাকটেরিয়া, পচা-দুর্গন্ধ, ভাঙা নিডিল ও লোহার স্ক্রু।
রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে খুলনার রূপসার ডাঃ সৈয়দ আবু আছফারের মালিকানাধীন অর্গানিক শ্রিম্প এক্সপোর্ট লিমিটেড, একই এলাকার মোঃ শরিফুল আলমের মালিকানাধীন রোজেমকো সী ফুড লিমিটেড, গৌতম দাসের মালিকানাধীন সাতক্ষীরা দীপা সী ফুড লিমিটেড, খুলনার রূপসার এসএম মিজানুর রহমানের মালিকানাধীন এটলাস সী ফুড লিমিটেড, একই এলাকার কামরুল হাসানের মালিকানাধীন সালাম সী ফুড লিমিটেড, মাগুরার বিবেকানন্দ শিকদারের মালিকানাধীন জাপান ফাস্ট ট্রেড লিমিটেড, সাতক্ষীরার মোঃ জালাল উদ্দিনের মালিকানাধীন ক্রীমসন রোজেলা সী ফুড লিমিটেড।
মান নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের সূত্র আরো জানান, আমদানিকারক দেশ হিমায়িত খাদ্য পরীক্ষা নীরিক্ষার পর রপ্তানিকারকদের এই মর্মে সতর্ক করে ভবিষ্যতে তাদের খাদ্যে অপদ্রব্য থাকলে বাণিজ্যিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। হিমায়িত খাদ্য অপদ্রব্য মিশ্রিত থাকায় কিডনী ও লিভার নষ্ট এবং ক্যান্সারের মত রোগ দেখা দিতে পারে। ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হওয়ার পর আমদানিকারক দেশগুলো সালাম সী ফুড, রোজেমকো সী ফুড ও দীপা সী ফুডের হিমায়িত খাদ্য মোংলা বন্দরে ফেরত পাঠিয়েছে।
মৎস্য পরিদর্শণ ও মান নিয়ন্ত্রন কর্মকর্তা লিপটন সরদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত হওয়ার পর আমদানিকারক দেশগুলোর অনীহা দেখা দিয়েছে। দাম কম ও ইউক্রেন রাশিয়ার দেশের যুদ্ধের কারণে রপ্তানি বেশ কমেছে। তিনি আরও জানান, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দল খুলনা সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটের খামার, ডিপো ও হিমায়িত খাদ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবো।