গোপালগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ, প্রতিপক্ষের লোকজনকে কুপিয়ে জখম

gopal-1.webp

দেশের তথ্য ডেস্ক গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি :-  গোপালগঞ্জে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা হলে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কাজুলিয়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

মামলা ও বাদী নাহিদ শেখ সূত্রে জানা গেছে, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিবেশী শহিদুল ভূঁইয়ার সঙ্গে আমার বাবা শাহাদত শেখের জমির মালিকানা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে গত ১০ জুলাই শহিদুল ভূঁইয়া ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আব্বাকে গালিগালাজ করে। এক পর্যায়ে এর কারণ জানতে চাইলে শহিদুল ভূঁইয়া, জসিম ভূঁইয়া, সাহিন ভূঁইয়া, মহিন ভূঁইয়াসহ অজ্ঞাত ৩/৪জন ছেনদা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আমার বাবাকে মারত্মক আহত করে।

এ ব্যপারে মামলা হলে পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠায়।

পরে ২০ জুলাই বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেয়ে দুপুরে আমাদের বাড়িতে এসে বাবাকে গালাগালাজ করে। আমার খালু, মামা ও প্রতিবেশীরা ঠেকাতে গেলে তাদের ও পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। পরে আহতদের গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার খালু বাবু ও মামা নওশেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

আর প্রতিবেশী সাজিদ গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, আসামিরা খারাপ প্রকৃতির লোক। তাই আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে হুমকিতে আছি। আমারা যাতে নিরাপদে বসবাস ও ব্যবসা বাণিজ্য করে বাঁচতে পারি তার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, চলতি মাসের ১০ ও ২০ জুলাই হামলা ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

এতে দুইটি মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা এখন সবাই জেল হাজতে রয়েছে। বর্তমানে এলাকার অবস্থা শান্ত রয়েছে।
গোপালগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক মো. জাবেদ মাসুদ ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেন, পূর্বের মারামারির ঘটনায় আসামিরা গ্রেপ্তার ছিল। তারা কোর্ট থেকে জামিনে গিয়ে আবার হামলা ও সংঘর্ঘে লিপ্ত হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে। তদন্তপূর্বক আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

Share this post

PinIt
scroll to top