দেশের তথ্য ডেস্ক ঝালকাঠি প্রতিনিধি :- নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন নিউজবাংলাকে জানান, বিআরটিএ প্রদত্ত হালকা মোটরযান (মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার) চালানোর লাইসেন্স দিয়ে মোহন খান চালাতেন ‘বাশার স্মৃতি’ পরিবহনের বাসটি। চালক হওয়ার আগে মোহন ওই গাড়িরই সুপারভাইজার ছিলেন। তিন বছর চাকরির পর বাসের মালিক আবুল কালাম তাকে হালকা যানের ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দিয়ে চালকের দায়িত্ব দেন।
ঝালকাঠিতে ব্যাপক প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার শিকার বাসের চালকের ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না বলে জানিয়েছেন তদন্ত কমিটির এক সদস্য ও আন্তজেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের এক কর্মকর্তা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ দুজন নিউজবাংলাকে জানান, বিআরটিএ প্রদত্ত হালকা মোটরযান (মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট কার) চালানোর লাইসেন্স দিয়ে মোহন খান চালাতেন ‘বাশার স্মৃতি’ পরিবহনের বাসটি। চালক হওয়ার আগে মোহন ওই গাড়িরই সুপারভাইজার ছিলেন। তিন বছর চাকরির পর বাসের মালিক আবুল কালাম তাকে হালকা যানের ড্রাইভিং লাইসেন্স করিয়ে দিয়ে চালকের দায়িত্ব দেন।
গত ২২ জুলাই বরিশাল-খুলনা মহাসড়কে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় বাশার স্মৃতি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে যায়। এটি পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠি যাচ্ছিল। এতে ১৭ জন যাত্রী নিহত হন।
চালকের অসাবধানতায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন বাসটির যাত্রীরা। একই ভাষ্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)।
ঘটনার তদন্তে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মামুন শিবলীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে বুয়েটের অ্যাকসিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে একজনকে নেয়া হয়েছে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজনসহ দুজন জানান, বাসটির চালক মোহন খান ২০২০ সালে বিআরটিএ বরিশাল সার্কেল থেকে হালকা যান চালানোর লাইসেন্স পেয়েছিলেন। বাশার স্মৃতি পরিবহন চালানোর লাইসেন্স ছিল না তার, তবে বাসটির ফিটনেস ও রোড পারমিটের কাগজপত্র হালনাগাদ ছিল।