মিরসরাইয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে ২ মামলায় ২ শতাধিক আসামি

mirsorai.webp

দেশের তথ্য ডেস্ক চট্টগ্রাম প্রতিনিধি :-  চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একের পর এক মামলা দিয়ে নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছে স্থানীয় উপজেলা বিএনপি। শনিবার (২২ জুলাই) সকালে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত লিখিত এক বিবৃতিতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অহেতুক মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ জানান।

জানা গেছে, বুধবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলা, মহাসড়কে ককটেল বিস্ফোরণ ও নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ এনে স্থানীয় বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজিকে প্রধান আসামি করে মোট ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৩৫-৪০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন রাসেল মিয়া নামে এক যুবলীগকর্মী।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন এলাকায় যুবলীগের দুই কর্মীকে মারধর করে তাদের ব্যবহৃত মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় মিরসরাই থানায় পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করেন আহত যুবলীগকর্মী সাজ্জাদ হোসেন সজিব।

ওই মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাখাওয়াত হোসেনকে প্রধান আসামি করে মোট ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫ জনকে আসামি করা হয়।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরীর দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়, কোনো ধরনের ঘটনা ছাড়াই মিরসরাই ও জোরারগঞ্জ থানায় বিএনপি, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। এসব মামলা বিএনপির আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখার জন্য করা হচ্ছে।

অবিলম্বে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হোক।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, এসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে জনগণের তীব্র আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখা যাবে না। বরং মামলায় জর্জরিত বিএনপি নেতাকর্মীরা আরো বেশি মাঠের আন্দোলনে সাহসী ভূমিকা রাখবে।

মিরসরাই থানায় দায়ের হওয়া মামলা সম্পর্কে ওসি কবির হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুবলীগের দুই কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করা হয়।

এ সময় তাদের বহনকারী একটি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত যুবলীগকর্মী সাজ্জাত হোসেন সজিব বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা প্রসঙ্গে ওসি জাহিদ হোসেন কালের কণ্ঠকে জানান, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ চলাকালীন প্রধান আসামি দিদারুল আলম মিয়াজির বাড়ি থেকে হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় আহত মো. রাসেল মিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ১৯ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। বিএনপির বা অন্য কারো এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য থাকলে তা তদন্ত কর্মকর্তার কাছে ব্যক্ত করুক।
প্রসঙ্গত গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে বারইয়ারহাট পৌর আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে হামলার ঘটনায় যুবলীগকর্মী মো. রাসেল মিয়া আহত হন। এ ঘটনার একদিন পর তিনি নিজে বাদী হয়ে জোরারগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। গত ২০ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওয়াহেদপুর এলাকায় যুবলীগের দুই কর্মীকে মারধর করে তাদের বহনকারী একটি মোটরবাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আহত যুবলীগকর্মী বাদী হয়ে ওই দিন দিবাগত রাতে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

Share this post

PinIt
scroll to top