ভেড়ামারায় পদ্মা নদীর পাড় ভয়াবহ ভাঙন ৬ হাজার একর ফসলি জমি বিলীন

varamara.jpg

দেশের তথ্য ডেস্ক কুষ্টিয়া প্রতিনিধি :-  কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার বাহিরচর ইউনিয়নের টিকটিকি ও মুন্সিপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় ভয়াবহ ভাঙন চলছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ৬ হাজার একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কে ভাঙন রোধ করে জনবসতি রক্ষায় জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে এলাকাবাসী একাধিকবার অবরোধ করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময় ও এ পর্যন্ত তালবাড়িয়া থেকে বারো মাইল পর্যন্ত পদ্মার ভাঙনের মুখে রয়েছে। এখানে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালে ৬০০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। বর্তমানে ১৮০০ কোটি টাকার প্রকল্পে এসে দাঁড়ায়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটিতে প্রকল্পটি জমা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, ভাঙনকবলিত পদ্মার ওপারে ঈশ্বরদীর রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ হওয়ায় পদ্মা নদীর ভেতরে গভীর থেকে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নদীর পানি সেখানে ধাক্কা খেয়ে নদীর গতিপথ সরে গিয়ে এপারে পানি ধাক্কা দিচ্ছে। এতেই ভাঙনের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। এক সপ্তাহ ধরে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল টিকটিকি ও মুন্সিপাড়া এলাকায় পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ ভয়াবহ ভাঙনে বসতি এলাকার খুব কাছাকাছি চলে এসেছে নদী। ভাঙন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়কে অবরোধ করে। পরে স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে সড়ক অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই ৬ হাজার একর ফসলি জমি বিলিন হয়ে গেছে।

ভাঙন ঠেকাতে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু গত ৯ জুলাই নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে উদ্বোধন করেন। যা এখনও অব্যাহত রয়েছে। তবে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে তীব্র ভাঙন দেখা দেওয়ায় ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না। এলাকাবাসী আ: সবুর বলেন, ফসলের জমিতো নদী ভাঙনে আগেই শেষ। এখন আমাদের শেষ আশ্রয় বাড়ি বিলীনের পথে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার আকাশ কুমার কুন্ডু বলেন, ভাঙন রোধে কাজ চলমান রয়েছে। আরও প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী (বাপাউবো) ইমরান সর্দার বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকায় কাজ চলছিল। কিন্তু পানি বাড়ার সাথে ভাঙনের তীব্রতা বেড়ে যায়। বর্তমান আমরা জিও ব্যাগ ও বড় টিউব ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শাজাহান সিরাজ বলেন, ভাঙনকবলিত এলাকায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। তবে আমরা জিও ব্যাগ ও বড় টিউব ফেলার কাজ শুরু করেছি।

Share this post

PinIt
scroll to top