দেশের তথ্য ডেস্ক – অহরণের শিকার হয়েছিল ১৩ বছরের কিশোরী। এরপর তাকে একটি গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তবে নিজের বুদ্ধিমত্তায় উদ্ধার হয়েছে ওই কিশোরী। ঘটনাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার।
জানা গেছে, গত ৯ জুলাই একটি পার্ক করা গাড়িতে হঠাৎ চোখ আটকে যায় এক পথচারীর। গাড়ির ভেতর থেকে কেউ একজন ‘হেল্প মি’ লেখা দেখাচ্ছে। সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় জরুরি পরিষেবা নম্বরে ফোন দেন ওই পথচারী। এরপর ওই গাড়ি থেকেই উদ্ধার করা হয় অপহৃত ওই কিশোরীকে।
এ ঘটনায় স্টিভেন রবার্ট সাবলান (৬১) নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি টেক্সাসের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে ফেডারেল আদালতে অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
কিশোরীকে উদ্ধারের সময় সাবলানের গাড়ি থেকে ছোট একটি বন্দুক উদ্ধার করা হয়। তবে পরে জানা যায় বন্দুকটি নকল ছিল। এছাড়া একটি সুইচব্লেড ও একটি হাতকড়াও উদ্ধার করা হয়েছে।
আদালতের নথি সূত্রে জানা গেছে, টেক্সাসের সান অ্যান্টোনিওর একটি ফুটপাতে হাঁটার সময় অস্ত্রের মুখে ওই কিশোরীকে গাড়িতে তুলে নেন সাবলান।
এ সময় অপহরণকারী সাবলান ওই কিশোরীকে ভয় দেখিয়ে বলেন, “তুমি যদি আমার সঙ্গে গাড়িতে না ওঠো, আমি তোমাকে আঘাত করব।”
মামলার হলফনামায় বলা হয়, টেক্সাস থেকে ক্যালিফোর্নিয়া নিয়ে যাওয়ার পথে ওই কিশোরীকে বারবার যৌন নিপীড়ন করা হয়।
সাবলানের বিরুদ্ধে অপহরণ ও অপ্রাপ্তবয়স্ককে জোরপূর্বক যৌন কর্মকাণ্ডে বাধ্য করার দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে তার।
চলতি মাসের শেষ দিকে সাবলানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারে, টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে চুরির অভিযোগে সাবলানের বিরুদ্ধে পরোয়ানা ছিল। তাকে সশস্ত্র ও বিপজ্জনক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। হলফনামা অনুযায়ী, ডাকাতি ও মাদক রাখায় সাবলান এর আগেও দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন।