দেশের তথ্য ডেস্ক ঢাকা প্রতিনিধি :- বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেছেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যেভাবে পিস কমিটি করেছিল রাজাকার-আলবদররা, আজকের বাংলাদেশে সেভাবেই একটা পিস কমিটি হয়েছে। ওবায়দুর কাদেরের নেতৃত্বে গঠিত পিস কমিটি বিএনপি’র কর্মসূচির দিনেই শান্তি কর্মসূচির নামে অশান্তির কর্মসূচি দেয়। এই পিস কমিটিকে যেনো ৭১’ এর মত পালিয়ে যেতে না হয়। আ’লীগ নোংরা ভাষায় বলা বলা ছাড়া কিছুই জানেন না বলতে থাকেন। কাদের কতটা সাহস বুদ্ধিমত্তা আছে সবই আমাদের জানা আছে। সোজা পথে চলেন, শান্তির পথে চলে গণতন্ত্র বোঝার চেষ্টা করেন, তাহলে আপনারা ভালো থাকবেন।
গতকাল বুধবার বিকালে সরকারের পদত্যাগ করে নির্দলীয় অন্তর্বতী সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের একদফা দাবিতে নগরীর কেডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত পদযাত্রা পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক মন্ত্রী গয়েশ^র চন্দ্র রায় বলেন, আ’লীগ শান্তি মিছিলের নামে অশান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের ছেড়ে দেয়ার দিন শেষ। সারাদেশে হামলার জবাব দেয়া হবে। আমাদের গুলি করে মারবে আর আমরা ভদ্র লোকের মত মার নিবো, আমরা পাল্টা কিছু করবোনা এটাতো হয় না। স্বাধীন বাংলাদেশে মার খাওয়ার জন্য তো আমাদের জন্ম হয়নি। আমাদের লড়াই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের জন্য। হারিয়ে যাওয়া গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন করছি। এটা বিএনপি’র জন্য লড়াই না-এটা ব্যক্তিগত কোন লড়াই না। এ লড়াই ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য লড়াই না। এ লড়াই অবৈধভাবে ক্ষমতা বসে যারা লুটপাট করছে, নারী নির্যাতন করছে, নারী ধর্ষন করছে, দেশের টাকা বিদেশে পাচার করছে তাদেরকে বিতারিত করার জন্য লড়াই। চলমান লড়াইয়ের মাধ্যমে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে এবং সেই সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন পুনঃগঠন করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে।
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে লুকিয়ে থাকেননি ইতিহাসের এ অংশ উলেখ করে গয়েশ^র রায় বলেন, তিনি নিজেই যুদ্ধ করেছেন। শহিদ জিয়ার সৈনিকেরা আন্দোলন করতে জানে। সকল প্রকার ট্রেনিং বিএনপি’র আছে, যখন যেটা দরকার তখন সেভাবেই আন্দোলন হবে।
আ’লীগের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অবিলম্বে পদত্যাগ করুন, শান্তির সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টি করবেন না। দেশে অরাজকতা করবেন না। অরাজকতা করলে জনগণের হাত থেকে রেহাই পাবেন না। এ সরকারের বিদায়ের জন্য অচিরেই কঠিন এবং কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। সেই কর্মসূচি বেশি সময়ের জন্য হবে না। বিএনপি’র ভদ্র কিন্তু দুর্বল না। বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত গণতান্ত্রিক যুদ্ধ আমরা জয়ী হবোই।
নগর বিএনপি’র আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আমীর এজাজ খান। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষে নগর ও জেলা বিএনপি’র পদযাত্রা দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে কেডি ঘোষ রোড দিয়ে কেসিসি মার্কেটের সামনে দিয়ে স্টেডিয়াম মোড়ে যেয়ে শেষ হয়।
নগর ও জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পির সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য খান রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সংসদ সদস্য শেখ মুজিবর রহমান, শেখ আবু হোসেন বাবু, খান জুলফিকার আলী, স ম আব্দুর রহমান, এম সাইফুর রহমান, সৈয়দা রেহেনা ঈসা, এস এ রহমান, এড. নুরুল হাসান রুবা, মোলা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, মোঃ রকিব মলিক, শের আলম সান্টু, মোস্তফাউল বারী লাভলু, আবুল কালাম জিয়া, মোলা মোশাররফ হোসেন মফিজ, বদরুল আনাম খান, অধ্যাপক মনিরুল হক বাবুল, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, শেখ তৈয়েবুর রহমান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, এস এম শামীম কবীর, একরামুল হক হেলাল, আশরাফুল আলম নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম, শেখ সাদী, মেজবাউল আলম, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ, এনামুল হক সজল, শেখ জাহিদুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, হাফিজুর রহমান মনি, তানভিরুল আজম, শাহিনুল ইসলাম পাখি, আবু মুরশিদ কামাল, আরিফ ইমতিয়াজ খান তুহিন, কে এম হুমায়ন কবির, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, কাজী মিজানুর রহমান, এড. চৌধুরী তৌহিদুর রহমান তুষার, জহর মীর, নাজির উদ্দিন আহমেদ নান্নু, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিব বিশ্বাস, আহসান উলাহ বুলবুল, এড. মোহাম্মদ আলী বাবু, শেখ জামাল উদ্দিন, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস, আফসার উদ্দিন, মোলা ফরিদ আহমেদ, আনসার আলী, নাসির খান, আব্দুস সালাম, আলমগীর হোসেন, আব্দুর রহমান ডিনো, নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর, ফারুক হোসেন হিলটন, মোঃ জাহিদ হোসেন, মিজানুর রহমান মিলটন, শফিকুল ইসলাম শফি, মোঃ আক্কাস আলী, ফারুক হোসেন, মুজিবর রহমান, আজিজা খানম এলিজা, চৌধুরী কাওসার আলী, এড. মোমরেজুল ইসলাম, আবদুল মজিদ, খায়রুল ইসলাম খান জনি, ওয়াহিদ ইমরান, আবদুস সাত্তার, অসিত কুমার সাহা, শাকিল আহমেদ, জিএম রফিকুল ইসলাম, মনিরুজ্জামান লেলিন, মুর্শিদুর রহমান লিটন, নাজমুস সাকিব, রফিকুল ইসলাম বাবু, মোঃ ইকবাল শরীফ, নেহিবুল হাসান নেহিম, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তি, আব্দুল মান্নান মিস্ত্রি ও শফিকুল ইসলাম শাহিন প্রমুখ।