দেশের তথ্য ডেস্ক বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি :- বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা চক্রাখালি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বুধবার সকালে এ্যাসেম্বলি চলাকালে অজ্ঞাত কারণে অন্ততঃ ২০ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থ সকল শিক্ষার্থীই মেয়ে। অসুস্থদের দ্রুত বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে যায়। কিছু শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং কিছু শিক্ষার্থীর চিকিৎসা বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তৃপ্তি রাণী বিশ্বাস বলেন, এ্যাসেম্বলি চলাকালে একজন শিক্ষার্থী মাথা ঘুরে পড়ে যায়। তারপর একে একে ২০ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা দ্রুত তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাই এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। অসুস্থরা এখন শঙ্কামুক্ত। এ বিষয়ে বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মিজানুর রহমান বলেন, এই ধরনের রোগটা ১২-১৬ বছর বয়সের কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। ইভটিজিং, বকাবকি, টেনশন, মানসিক অবসাদ, না খেয়ে থাকা, মেয়েদের ঋতু চলাকালীন ও মানসিক চাপ জনিত কারণে এ রোগে আক্রান্ত হয়। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এটাকে হিস্ট্রিয়া (এইচসিআর) বলা হয়। এ রোগে একজন আক্রান্ত হলে তাকে দেখে আরেকজন আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগে আক্রান্ত হয়ে জলমা স্কুলের ২০ জন শিক্ষার্থী হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে ১১ জন প্রাথমিক চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠে। ৫ জনকে খুমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৪ জন এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সকলেই এখন শঙ্কামুক্ত।
এদিকে খবর পেয়ে অসুস্থদের দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান বটিয়াঘাটা উপজেলার নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই গাইন এবং উপজেলা সিপিবি সভাপতি অশোক সরকার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নারায়ণ চন্দ্র মন্ডল, বটিয়াঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আহসান কবির, মানবাধিকার নেতা সর্দার হাফিজুর রহমান। পাশাপাশি খবর পেয়ে অভিভাবকসহ এলাকার লোকজন রোগীদের দেখতে হাসপাতালে ভিড় জমান।