দেশের তথ্য ডেস্ক বাগেরহাট প্রতিনিধি :- আসামী মোঃ আরাফাত হোসেন জনির সাথে ভিকটিমের বিবাহ হয়েছিল। আসামী ভিকটিমকে তালাক দিয়ে দেয়। গত ০২ জুলাই ২০২৩ তারিখ বিকেলে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানাধীন বেতাগা ইউনিয়নের বেতাগা গ্রামের ভিকটিম মেয়ের ভাড়াকৃত বাসায় ভিকটিম অবস্থান কালে আসামী আরাফাত হোসেন জনি ও তার সহযোগী বাবু জিলনী সেখানে যায়। তখন আসামী জনি ভিকটিমের কন্যার বাসায় দরজা খোলা পেয়ে ভিতরে প্রবেশ করে এবং বাবু জিলানী বাসার পিছনে অবস্থান করে। বাসা ফাকা থাকায় আসামী ভিকটিমের হাত ধরে টানাটানি করে ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ভিকটিমের চিৎকারে আসে পাশের লোকজন আসলে আসামীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিম খুলনা মেডিকেল কলেজে গিয়া ভর্তি হয়ে চিকিৎসা করায়। এ বিষয়ে ভিকটিম বাদী হয়ে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় আসামীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি জানতে পেরে র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি আভিযানিক দল ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষণের সাথে জড়িত আসামীদেরকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। র্যাব তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে উক্ত মামালার অন্যতম আসামী আরাফাত হোসেন জনি খুলনা জেলার রুপসা থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) খুলনার একটি চৌকস আভিযানিক দল ১৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খুলনা জেলার রুপসা থানাধীন খানজাহান আলী ব্রিজের টোল প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণ মামলার অন্যতম পলাতক আসামী ১। আরাফাত হোসেন জনি(৪৫), থানা-রুপসা, জেলা-খুলনাকে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামী ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।