দেশের তথ্য ডেস্ক ঢাকা প্রতিনিধি :- কমতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় যমুনা নদীর পানি। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু পানি কমলেও দেখা দিয়েছে প্রবল ভাঙন। যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত চরগিরিশ ইউনিয়নের সিন্দুর আটা বয়রা ভায়া জামালপুর উপজেলার সরিষাবাড়ী পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার পাকা রাস্তাটির ২০০ মিটার যমুনায় বিলীন হয়ে গেছে।
হুমকির মুখে পড়েছে রাস্তার পাশের ৩৩ হাজার কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন।
সোমবার (১৭ জুলাই) থেকে এই রাস্তায় ভাঙন দেখা দেয়। পরদিন মঙ্গলবার থেকে স্থানীয়ভাবে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন বালুভর্তি বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।
এদিকে, চরিগিরিশ ইউনিয়নের যোগাযোগের প্রধান সড়কটিতে ভাঙন দেখা দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে বহু মানুষ।
গত বছরের বন্যায় এই রাস্তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নির্মিত জোড়াব্রিজ দেবে গেলে সেখানে সাময়িক চলাচলের জন্যে কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার বন্যায় সেটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
জানা গেছে, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম কাজিপুরের চরাঞ্চলে অনেকগুলো রাস্তা নির্মাণ করেন। তার মধ্যে এলজিইডি’র নির্মিত চরগিরিশ ইউনিয়নের এই পাকা রাস্তাটি ছিলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এই রাস্তা ব্যবহার করে চরাঞ্চলের মানুষজন পাশের জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ীতে যাতায়াত করেন। ওখান থেকে রাজধানী ঢাকায় যান তারা। বিশেষ করে চরে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণে এই পথ তাদের জন্যে গুরুত্বপূর্ণ।
মঙ্গলবার দুপুরে কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুখময় সরকার ভাঙনকবলিত ওই স্থান ঘুরে দেখেন। ইউএনও বলেন, ওই রাস্তার ভাঙন ঠেকাতে স্থানীয়ভাবে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
জোড়াব্রিজের স্থানে নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের সমীক্ষা হয়ে গেছে।