দেশের তথ্য ডেস্ক :- দক্ষিণ কোরিয়ায় সপ্তাহান্তে তীব্র বৃষ্টির কারণে সারা দেশে ব্যাপক বন্যা ও ভূমিধসের কারণে অন্তত ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার একটি টানেল পানিতে প্লাবিত হয়ে কমপক্ষে ১৩ জন মারা গিয়েছিল। বন্যায় প্লাবিত টানেলে আটকে পড়া গাড়ি থেকে ওই ১৩টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মোট মৃতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
গত শনিবার আন্ডারপাসে একটি বাসসহ অন্তত ১৫টি যানবাহন আটকা পড়েছিল। মধ্য দক্ষিণ কোরিয়ার চেওংজু শহরের একটি বন্যাকবলিত টানেল থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজদের পরিবার স্থানীয় হাসপাতালে তথ্যের জন্য উদ্বিগ্নভাবে অপেক্ষা করছে।
নিখোঁজ এক ব্যক্তির বাবা স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপকে বলেছেন, ‘আমার কোনো আশা নেই কিন্তু আমি ছেড়ে যেতে পারব না।
এই ঠান্ডা পানি আমার ছেলের জন্য কতটা বেদনাদায়ক ছিল, তা ভেবে আমার হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে।’
এদিকে ৬৮৫ মিটার টানেলটিতে ঠিক কতজন আটকা পড়েছেন তা কর্মকর্তারা এখনও স্পষ্ট করতে পারেননি। শুধু ১৫টি গাড়ি আটকে ছিল বলে জানা গেছে। রবিবার সকালে টানেলে আটকে পড়া একটি বাসের ভেতর থেকে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে শনিবার সেখানে অন্য একটি মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায় এবং নয়জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টিতে দেশটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৭ জুলাই) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বন্যার পর এখন পর্যন্ত অন্তত নয়জন নিখোঁজ রয়েছেন। এদিকে মুষলধারে বৃষ্টির কারণে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির বেশিরভাগ অংশে বন্যা, ভূমিধস দেখা দেওয়ার পর বিদ্যুৎ বিভ্রাটও দেখা দিয়েছে।
এ ছাড়া মধ্য দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তর গিয়ংসাং অঞ্চলে ভূমিধসে ঘরবাড়ি ভেসে যাওয়ায় অন্তত ১৯ জন মারা গেছে।
এর আগে উত্তর চুংচেংয়ের গোয়েসান বাঁধ উপচে পানি ঢোকা শুরু করলে শনিবার ভোরে প্রায় ৬ হাজার ৪০০ বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।