দেশের তথ্য ডেস্ক :- রশিদ খান, হজরতউল্লাহ জাজাই, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, মুজিব উর রহমানদের কদর বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগগুলোতে। টি-টোয়েন্টি দল হিসেবেও তারা শক্তিশালী। সেই আফগানিস্তানকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারাল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসান যোদ্ধা হয়েই নেতৃত্ব দিয়েছেন আদর্শ সেনাপতির মতো।
হয়েছেন দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা। ৪ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি ৪০ রান করে জিতেছেন সিরিজ সেরার পুরস্কারও। তবে নিজের পারফরম্যান্সের চেয়ে দলের জন্য বেশি গর্বিত তিনি। সামনেই এশিয়া কাপ আর ওয়ানডে বিশ্বকাপ।
সেখানে আবারও মুখোমুখি হতে হবে আফগানিস্তানের। এবারের সিরিজ জয়টাকে টুর্নামেন্ট দুটিতে ভালো খেলার জ্বালানি হিসেবেই দেখছেন সাকিব, ‘দেখুন, বেশির ভাগ খেলোয়াড়ই তো আসলে ওডিআই টিমের বা টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়রা ওডিআই টিমের। তো এই কনফিডেন্সটা তারা নিয়েই যেতে পারে, যেহেতু এশিয়া কাপে আমরা এদের ফেস করব। বিশ্বকাপে ফার্স্ট ম্যাচ ফেস করব।
এই যে কনফিডেন্সটা আমরা যদি নিয়ে যেতে পারি, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হবে। এখানকার ৮০-৯০ পার্সেন্ট খেলোয়াড়ই আসলে ওডিআই ম্যাচগুলো খেলবে। এটা আসলে তাদের জন্য অনেক বড় কনফিডেন্স বুস্টআপ, আমি বলব বিফোর এশিয়া কাপ।’ আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়েও আত্মবিশ্বাস বাড়ার কথা বললেন সাকিব, ‘অবশ্যই ভালো লাগছে। কারণ ওদের সঙ্গে আমাদের টি-টোয়েন্টিতে আগে ভালো রেজাল্ট ছিল না।
তো যেহেতু এ রকম একটা সিরিজ জিততে পারলাম, এ রকম কন্ডিশনে স্পেশালি, আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদের সামনের দিকে আরো আত্মবিশ্বাস এনে দেবে ভালো রেজাল্টের জন্য।’
তাসকিন আহমেদ আগ্রাসী বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। সাকিব, মুস্তাফিজের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পা রেখেছেন ৫০ উইকেটের মাইলফলকে। তবে আলাদা করে কোনো বোলারের অবদানের কথা বলতে চাইলেন না সাকিব, ‘আমার কাছে মনে হয়, তাসকিনের চেয়ে হাসান অনেক ভালো বল করেছে। আমি আসলে কাউকে কম, বেশি ওভাবে বলতে চাই না। আমরা যারা পাঁচ-ছয়জন বোলার আছি, তাদের কাজটাই হচ্ছে ব্যাটসম্যানদের কাজটা সহজ করে দেওয়া এবং সেটাই আমরা চেষ্টা করি। ভালো একটা কম্বিনেশন হচ্ছে স্পিনার এবং পেস বোলারদের। হেলদি কম্পিটিশনও হচ্ছে। এটা আসলে দলের জন্যই খুব ভালো বলে আমি মনে করি।’
বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে ৫০ উইকেটের ক্লাবে প্রথম পা রাখেন সাকিব আল হাসান। খুলনায় ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজার উইকেটটি ছিল তাঁর ৫০তম। এই ফরম্যাটে উইকেটের হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছতে সাকিব খেলেছিলেন ৪২ ম্যাচ। দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ৫০তম উইকেট নিয়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০১৯ সালে চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২ উইকেট নিয়ে হাফসেঞ্চুরিতে পৌঁছেন ‘কাটার মাস্টার’। ৩৩ ম্যাচে করেছিলেন কীর্তিটা। দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে মুস্তাফিজ আছেন ১০ নম্বরে আর সাকিব আল হাসান ৪৩-এ। তাসকিন খেললেন ৫৪ ম্যাচ।
বৃষ্টিস্নাত এই কন্ডিশনে প্রথম ম্যাচ হারের জন্য ভেজা মাঠকে দায়ী করেছিলেন রশিদ খান। তবে গতকাল মেনে নিলেন নিজেদের ব্যর্থতা, ‘একটা দলের জন্য আবহাওয়া কোনো অজুহাত নয়। টি-টোয়েন্টিতে ব্যবধান গড়ে দেওয়া উচিত স্কিলের, আর আমরা সেখানেই ভালো ছিলাম না।