দেশের তথ্য ডেস্ক:- সৌদি আরবে একটি ফার্নিচার কারখানায় আগুনে পুড়ে নিহত মাদারীপুরের জুবায়ের ঢালীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। পরিবারের বড় সন্তান জুবায়ের দুই সন্তানের জনক। অবুঝ শিশুরা জানে না তারা কোনো দিন আর বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারবে না। তবে দ্রুত লাশ বাড়িতে আনার দাবি পরিবারের। লাশ আনাসহ সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার রিয়াদ থেকে প্রায় ৩৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সৌদি আরবের দাম্মামের হুফুফ শহরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় সন্ধ্যার সময় এ ঘটনা ঘটে। এতে ৯ জন কর্মী মারা যান। তাদের মধ্যে সাতজন বাংলাদেশি।
আগুনে পুড়ে নিহত জুবায়ের ঢালী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামের ইউনুস ঢালীর ছেলে।
২০২১ সালে ৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে জীবিকার জন্য পাড়ি জমান সৌদি আরবে। চার ভাই ও এক বোনের মধ্যে জুবায়ের সবার বড়। দুই সন্তানের জনক জুবায়েরের অল্প বয়সে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছে না কেউ।
ছোট ভাই আকাশ বলেন, তার বড় ভাই ঋণ নিয়ে বিদেশ গিয়েছিল ২০২১ সালে। ঋণের কয়েকটি কিস্তি দিতে পেরেছে মাত্র। করোনার কারণে ঠিকমতো কাজ করতে পারেনি। অনেক কষ্ট করে দিন পার করেছিল তখন। ভাইয়ের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। সরকার সহযোগিতা না করলে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়বে।
নিহতের বাবা ইউনুস ঢালী বলেন, আমার বাবারে আর দেখতে পারমু না। বাবা আমাগো ভাল রাখতে বিদেশে কত কষ্ট করছে। শেষ বিদায়টার সময় আমার বাবার কত না কষ্ট হয়েছে। আমি এখন কী করবো! কিভাবে এত কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকবো।
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, মরদেহ দেশে আনার জন্য যে ধরনের সহযোগিতা লাগবে উপজেলা প্রশাসন থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। এছাড়া বিদেশ থেকে যে অনুদান দেওয়া হয়, তার জন্যও সহযোগিতা করবো। পাশাপশি উপজেলা প্রশাসন বরবার কোনো আর্থিক সহায়তা চাওয়া হলে সাহায্য করা হবে।