দেশের তথ্য ডেস্ক:-
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে বিলের পানিতে ভাসমান থাকা কন্যা শিশু নুপুর আক্তার (৮) এর হত্যাকারী মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে পূবাইল থানা পুলিশ।
শনিবার (১৫ জুলাই) মাজুখান পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির ওরফে আব্দুল্লাহ (২০)কে গ্রেপ্তার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল্লাহ প্রাথমিকভাবে তার দোষ স্বীকার করে।
স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার দুপুর থেকে শিশু নুপুর নিখোঁজ ছিল। এ ব্যাপারে স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে হারানো সংবাদ প্রচার ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সন্ধান চাওয়া হয়েছিল পরিবারের পক্ষ থেকে। উল্লেখ্য ৪০ নং ওয়ার্ড মাজুখান বাঘের টেক এলাকার আবুল হোসেন এর মেয়ে নুপুর আক্তার (৮) গত ১২ জুলাই দুপুর ১টার সময় বাসা থেকে দোকানে আইসক্রিম খাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়। অনেক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও নুপুর আক্তার বাসায় ফিরে না আসায় নুপুর আক্তার এর পরিবারের লোকজন আশপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করে। ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ১৩ জুলাই সকাল ১০ ঘটিকার সময় মাজুখান সাকিনস্থ বাঘেরটেক জনৈক দেলোয়ার হোসেন এর বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে গাছ বাগান সংলগ্ন ডোবার পানিতে ভাসমান অবস্থায় নুপুর আক্তার এর লাশ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিহত শিশুর পিতা আবুল হোসেন বাদী হয়ে ১৪ জুলাই পূবাইল থানায় ৩০২/২০১ ধারা মোতাবেক একটি মামলা দায়ের করেন,যার মামলা নং-০৪ ।পরবর্তী সময়ে পূবাইল থানা পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোঃ আব্দুল্লাহ ফকির ওরফে আব্দুল্লাহ (২০), পিতা-আব্দুল আলীম ফকির, মাতা-মোছাঃ ইলমা বেগম, স্থায়ী সাং-কাচনা, থানা-মোল্লারহাট, জেলা-বাগেরহাট এ/পি সাং-মাজুখান (পশ্চিমপাড়া), ওয়ার্ড নং-৪০, থানা-পূবাইল গাজীপুর মহানগর কে গ্রেপ্তার করে।
থানা সূত্রে আরও জানা যায়, নুপুরের প্রতিবেশী মরিয়ম (১৩) ও আসামী আব্দুল্লাহ সকলেই ডোবার পানিতে দুপুর ২টার গোসল করতে নামে। মরিয়ম গোসল শেষে নিজ বাসায় চলে যায়। কিন্তু আসামী আব্দুল্লাহ ও নুপুর আক্তার ডোবার পানিতে গোসল করতে থাকে। আশপাশ নির্জন হওয়ায় গোসল করার একপর্যায়ে আসামী আব্দুল্লাহ, নুপুর আক্তারকে ডোবার পাড়ে এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করা অবস্থায় ডোবার অপর প্রান্ত দিয়ে মানুষ চলাচলের সাড়াশব্দ পাওয়ায় আসামী আব্দুল্লাহ, নুপুর আক্তারকে ডোবার পানিতে ফেলে পালিয়ে যায়। নুপুর আক্তার ডোবার পানিতে মৃত অবস্থায় পরদিন ভেসে ওঠে।
পূবাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, শিশু কন্যাটির লাশ উদ্ধারের পর আমরা থানার পুরো টিম অভিযানে নামি। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অল্প সময়ে আমরা ঘটনাটি উদ্ঘাটনে সমর্থ হই এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করি। আসামি বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। শিশুদের লালন-পালনের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের আরো সচেতন হওয়ার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।