দেশের তথ্য ডেস্ক:- বরিশালে স্বামীর সাথে সম্পর্ক ঠিক করে দেওয়ার কথা বলে প্রবাসী নারীর অশ্লীল ভিডিও ধারণ করা হয়। তারপর সেই ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে চাঁদা দাবি করে প্রতারকচক্র। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। আরেক আসামি পলাতক রয়েছেন।
আটককৃতরা হলেন- বরিশাল এয়ারপোর্ট থানাধীন বাদলা গ্রামের মৃত লিটন খানের ছেলে মো. শাকিব খান (২৪) এবং একই গ্রামের মৃত শাহ জাহান বেপারীর ছেলে মো. খলিল বেপারী (৩৫)। আরেক আসামির নাম রুবেল।
শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ৯টায় বরিশাল ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা জানান, বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা এলাকার বাসিন্দা জনৈক প্রবাসী নারীর সাথে বাংলাদেশে থাকা তার স্বামী রাকিবের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। ওই নারীর শ্বশুরবাড়ি এয়ারপোর্ট থানাধীন এলাকার মাধবপাশা বাজার সংলগ্ন গ্রামে। প্রবাসী নারী তার পারিবারিক কলহ মিটমাটের জন্য আসামি শাকিবের সাহায্য চান।
শাকিব ভুক্তভোগীর স্বামীর সাথে তার সম্পর্ক উন্নয়নের সুযোগ নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলেন নারীকে।
পরে তার অশ্লীল দৃশ্য ভিডিওকলে ধারণ করেন। পরে তা অপর আসামি খলিলের মাধ্যমে প্রবাসী ওই নারীর কাছে পাঠিয়ে এক লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
এদিকে, ওই ভুক্তভোগী নারী অশ্লীল ভিডিও ধারণ এবং টাকা চাওয়ার রেকর্ড সংরক্ষণ করে তার বোনের স্বামীর কাছে আইনগত সহায়তার জন্য পাঠান। পরে তার বোনের স্বামীর অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ জুলাই) বিকালে মাধবপাশা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় তারা আসামি শাকিব খান ও খলিল বেপারীকে গ্রেপ্তার করেন।
এপিবিএন পুলিশের কমান্ডিং অফিসার আরো জানান, অনুসন্ধানে জানা গেছে, আসামি শাকিব ওই ভিডিও স্ক্রিন রেকর্ডিংয়ের মাধ্যমে ধারণ করেছেন। এই ভিডিওটি শাকিব অপর আসামি খলিলের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলে দেন। খলিল তার ফোনের ইমোর মাধ্যমে প্রবাসী নারীর ব্যক্তিগত ইমো নম্বরে এসব পাঠিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেন। এই ভিডিও দেখিয়ে দুই আসামিসহ পলাতক আসামি রুবেল ধাপে ধাপে তিন লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
তিনি জানান, এ বিষয়ে আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে এয়ারপোর্ট থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।