দেশের তথ্য ডেস্ক:
নরসিংদীতে ছাত্রদলের দুই নেতা হত্যা মামলার আসামি বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের ফাঁসির দাবিতে করা বিক্ষোভ থেকে গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে গাড়িতে থাকা আইনজীবীসহ সাত জন আহত হন।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের কোর্ট সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিতরা। এ সময় তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।হামলায় গাড়িতে থাকা সাত সহকর্মী ও সহকারী আহত হন বলে খায়রুল কবীর খোকনের আইনজীবী ইলতুতমিশ সওদাগরের দাবি।এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের সহযোগিতা চেয়েও পাওয়া যায়নি বলে তার অভিযোগ। আহতদের নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
গত ২৬ জানুয়ারি সিদ্দিকুর রহমান নাহিদকে সভাপতি ও মেহেদী হাসান রিফাতকে সাধারণ সম্পাদক করে ঘোষিত জেলা ছাত্রদলের আংশিক কমিটি বাতিলের দাবি ও ত্যাগী নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনের দাবিতে দফায় দফায় বিক্ষোভ করে আসছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা।
গত ২৫ মে বিক্ষোভের সময় গুলিতে নিহত হন ছাত্রদলের দুই নেতা সাদেকুর রহমান ও আশরাফুল ইসলাম। এ ঘটনায় নিহত সাদেকুরের বড়ভাই আলতাফ হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে প্রধান আসামি করে নরসিংদী মডেল থানায় মামলা করেন।
এ ছাড়া মামলায় খোকনের স্ত্রী বিএনপি নেত্রী শিরিন সুলতানাসহ ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনকে আসামি করা হয়।
বৃহস্পতিবার এই মামলায় আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল খায়রুল কবির খোকনসহ অন্য আসামিদের। আসামিদের আদালতে হাজির হওয়ার খবরে সকাল থেকে কোর্ট রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন সদ্য বহিষ্কৃত ও পদবঞ্চিত জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের পক্ষের আইনজীবীদের বহনকারী দুটি মাইক্রো বাস ভাঙচুর করেন বিক্ষোভকারীরা। পরে আরও একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করা হয়।এ সময় গাড়িগুলোতে থাকা বেশ কয়েকজন আইনজীবী ও তাদের সহকারী আহত হন।
তাদের মধ্যে জুনায়েদ উল্লাহ সোয়েব ও আকলিমা আক্তার নামে উচ্চ আদালতের দুই আইনজীবীর নাম জানা গেলেও বাকিদের বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।আইনজীবী ইলতুতমিশ সওদাগরের অভিযোগ, তারা জেলখানা মোড় থেকে নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গনে যাওয়ার পথে কোর্ট রোডে স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় একদল দুষ্কৃতিকারী হামলা চালিয়ে তাদের বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পরপর তিনটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে আইনজীবীসহ সাত জন আহত হন বলে তার দাবি।পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) একেএম শহিদুল ইসলাম বলেন, মামলার আসামি বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনের আদালতে হাজির হওয়ার বিষয়টি পুলিশের জানা ছিল। সেজন্য আদালত প্রাঙ্গনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল। তবে সড়কে গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়ে পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ না এলেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।#