দেশের তথ্য ডেস্ক:-
প্রাচীনকাল থেকে খাবারে বাড়তি স্বাদ আনতে ব্যবহার হয় ঘরে তৈরি আঁচারের। কিন্তু আপনি কি জানেন, খাবারে স্বাদ যোগ করা ছাড়াও আঁচারের আরো উপকারী দিক রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক আঁচারের কতগুলো গুণাগুণ।
১. কমবেশি আমাদের সবার হজমের সমস্যা হয়।
আঁচার তৈরিতে ভিনেগার দেওয়া হয় যা উপকারী ব্যাকটেরিয়া উৎপাদন করে থাকে। আর তা আমাদের হজমের উন্নতি ঘটায়।
২. ফল ও সবজি থেকে তৈরি আঁচারে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। হৃদরোগ, চোখের বিভিন্ন রোগ, স্মৃতিশক্তিজনিত যেকোনো সমস্যা প্রতিরোধ করে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট।
রোগ প্রতিরোধেও আঁচার অনেকাংশে কার্যকর।
৩. অনেকের ধারণা আঁচারের তেল এসিডিটি, রক্তচাপ বাড়ায়। প্রকৃত অর্থে এই তেল বা লবণ অন্ত্রের জন্য উপকারী। স্বাস্থ্য উন্নয়নে আঁচার ভূমিকা রাখে।
তবে যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে দৈনিক তাদের আঁচার না খাওয়াই ভালো।
৪. বাইরের আঁচার অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি হয়। তাই ঘরে বানানো আঁচার খাওয়া ভালো। প্রতিদিন এক থেকে দুই চামচ আঁচার আপনাকে রক্তশূণ্যতা থেকে রক্ষা করবে।
৫. সবজি ও ফল দিয়ে বানানো আচারে ভিটামিন ও খনিজ উপাদান থাকে।
শরীরের মেটাবলিজম ঠিক রাখে আঁচার।
৬. গর্ভাবস্থায় নারীদের আচার খেতে চাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়। আঁচার খেলে তাদের শারীরিক দুর্বলতা দূর হয় ও মন ভালো থাকে।
৭. যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য আঁচার কার্যকর। আঁচারের তেল শরীরের ফ্যাটকে ভেঙে দেয়।
প্রচলিত আছে, যে মেয়েদের মাসিকের সময় আঁচার কিংবা কোনো টক জাতীয় খাবার খাওয়া ঠিক নয়, এতে করে মাসিকের ব্যথা আরো বাড়ে। যদিও বৈজ্ঞানিকভাবে এই কথাটির কোনো ভিত্তি নেই। ব্যক্তিভেদে মেয়েদের ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা আলাদা, তাই সবার ক্ষেত্রে এটি কার্যকর নয়।