দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক দিন ধরেই সরগরম রাজনীতি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বেশ কয়েকদিন ধরেই আন্দোলন করছে বিএনপি। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী, দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে অনড় আওয়ামী লীগ।
এমন পরিস্থিতিতে সমমনা দলগুলোকে নিয়ে সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে সমাবেশ করছে বিএনপি। অন্যদিকে একই দিনে শান্তি সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের বৃহত্তম দুটি রাজনৈতিক দলের এমন পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ঘিরে উত্তপ্ত হয় উঠেছে রাজনীতির মাঠ।
বুধবার (১২ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হচ্ছেন। ইতোমধ্যে সমাবেশ মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। মঞ্চ ঘিরে সেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী জড়ো হয়েছেন। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপির এই সমাবেশ হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অন্যদিকে একই দিন পাল্টা শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথে থাকছে আওয়ামী লীগও। রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটের সামনে এই সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন দলটি। ইতোমধ্যে সমাবেশ মঞ্চও প্রস্তুত করা হয়েছে। দুপুর ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই সমাবেশ হবে।
ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকা থেকে দলটির নেতাকর্মীরা সকাল থেকেই সেখানে জড়ো হতে শুরু করেছেন। সমাবেশে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীদের যোগ দেবেন।
আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, বিএনপি-জামায়াত যেন সমাবেশের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে, সে ব্যাপারে তারা সতর্ক থাকবে।
এদিন বড় দুই দলের সমাবেশ ঘিরে সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিপুল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশ ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। কাউকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করা হচ্ছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন বলেন, দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশ ঘিরে পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ কাজ করছে। যেকোনো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।