জেনিনে ইসরায়েলের ব্যাপক ড্রোন হামলা

PAlestine-003-samakal-64a3d8192a918.jpg

ফিলিস্তিনের অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিনে শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনী বড় ধরনের সামরিক অভিযান চালাচ্ছে। চলমান অভিযানের প্রতিবাদে পশ্চিম তীরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। পশ্চিম তীরের দোকানপাট ও অফিস বন্ধ রয়েছে। এছাড়া গ্রীষ্মকালীন ছুটির জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ইতোমধ্যেই বন্ধ রয়েছে।

প্রায় ১৪ হাজার ফিলিস্তিনির বাসস্থান এই জেনিন ক্যাম্পের ওপর ব্যাপক ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর কয়েক হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে। ফলে সেখানে এখন পথে পথে সংঘাত হচ্ছে। খবর- বিবিসি

ফিলিস্তিন রেডক্রসের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, জেনিন শরণার্থী শিবির থেকে এখনো পর্যন্ত তিন হাজার ফিলিস্তিনিকে স্থানীয় হাসপাতালে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকই অসুস্থ ও প্রবীণ।

ইসরায়েলের ভাষ্য হচ্ছে, এই অভিযানের মাধ্যমে ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা’ নিশানা করা হচ্ছে। তবে ফিলিস্তিনের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের নিরস্ত্র মানুষের ওপর আবারও নতুন করে যুদ্ধাপরাধ করছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ বলছে, জেনিন শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানের প্রভাব নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। অভিযানের কারণে শরণার্থী শিবিরের বড় এলাকাজুড়ে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হচ্ছে। এজন্য যারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যেতে চাইছে তারা ঘর থেকে বের হতে পারছে না বলে জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, জেনিনে ইসরায়েলের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়িয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১০০ জন। তাদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর। জেনিন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়ে গেছে।

গত এক বছরের মধ্যে জেনিনের শরণার্থী শিবিরের ওপর একাধিক ইসরায়েলি সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। ইসরায়েলিদের লক্ষ্য করে বেশ কিছু গুলিবর্ষণের ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিদের দ্বিতীয় ইন্তিফাদার সময় এই এলাকাটিতে ব্যাপক গোলযোগ হয়। ২০০২ সালের এপ্রিলে ইসরায়েলি বাহিনী পুরোদমে সামরিক অভিযান চালায়। সে সময় কমপক্ষে ৫২ জন ফিলিস্তিনি এবং ২৩ জন ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়।

 

Share this post

PinIt
scroll to top