স্মার্ট ঘড়ি, হেডফোন ও অন্যান্য পরিধেয় যন্ত্রের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বাজার হতে চলেছে ভারত। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইডিসি ইন্ডিয়া এই পূর্বাভাস দিয়েছে।
আইডিসি আরও বলেছে, সামষ্টিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার মধ্যে উত্তর আমেরিকা ও চীনের বাজারের চাহিদা যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে উঠে গেছে, তখন ভারতের বাজার বড় হচ্ছে। খবর ইকোনমিক টাইমসের।
২০২৩ সালে ৫০ কোটি ৪১ লাখ ইউনিট পরিধেয় যন্ত্র বিশ্বব্যাপী বাজারজাত হতে পারে বলে পূর্বাভাস করেছে আইডিসি ইন্ডিয়া। এর মধ্যে ভারতের বাজারে বিক্রি হতে পারে ১৩ থেকে ১৩ কোটি ৫০ লাখ ইউনিট, যা মোট বিক্রির প্রায় ২৬ শতাংশ। গত বছর ভারতে এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ইউনিটের মতো—যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের পরেই ছিল তার স্থান।
চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে এসব পণ্যের ২৬ শতাংশ ভারতে বিক্রি হয়েছে। আইডিসির হিসাব অনুযায়ী, এটি বৈশ্বিক বাজারের ২৬ শতাংশ; তবে কাউন্টার পয়েন্ট রিসার্চের হিসাব অনুযায়ী, এটা ২৭ শতাংশ।
কাউন্টার পয়েন্ট বলেছে, ভারতে এখন যত স্মার্টফোন বিক্রি হচ্ছে, তার বিপরীতে একটি করে স্মার্ট ঘড়ি বিক্রিও হচ্ছে। আইডিসি ও কাউন্টার পয়েন্ট উভয়ই মনে করছে, চলতি ২০২৩ সালে ভারতের বাজারের এই প্রবৃদ্ধি বজায় থাকবে।আইডিসির গবেষণা ব্যবস্থাপক জিতেশ উবরানি এক প্রতিবেদনে বলেছেন, ‘বাজারের আকারের দিক থেকে ভারত ইতিমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। মূলত নানা ধরনের ফিচার সমৃদ্ধ স্বল্পমূল্যের স্থানীয়ভাবে তৈরি স্মার্ট মুঠোফোনের কল্যাণে পরিধেয় যন্ত্রের এই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।’
উভয় প্রতিষ্ঠানই মনে করছে, মূলত ভারতের বাজারের চাহিদার ওপর ভরে করে চলতি বছর বিশ্বজুড়ে এসব পণ্যের বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, যদিও ২০২২ সালে এই বাজার প্রথম সংকুচিত হয়েছিল। এতে চলতি বছর পরিধেয় যন্ত্রের বাজারের বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
তবে ভারতের বাজারে মূলত কম দামি পণ্য বিক্রি হচ্ছে। ২০২২ সালে ভারতে এসব পণ্য বিক্রি হয়েছে তার ৪০ শতাংশের দামই ছিল দুই হাজার রুপির নিচে।এই পরিস্থিতিতে কাউন্টার পয়েন্ট মনে করছে, এসব পণ্যের দাম এখনই তলানিতে, ফলে এরপর কোম্পানিগুলোর স্বাতন্ত্র্য বজায় রাখতে গবেষণা ও উন্নয়নে জোর দিতে হবে।তখন তাদের স্থানীয় উৎস থেকে এসব যন্ত্রের সরঞ্জাম খুঁজতে হবে, সেই সঙ্গে সেন্সরের যথার্থতা উন্নয়ন, ব্যাটারির জীবৎকাল বৃদ্ধিসহ গোপনীয়তা রক্ষায় জোর দিতে হবে।