বৃষ্টি ও বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলে কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিকের মধ্যে চলে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
রোববার (২ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জনগণ খুবই ভালো করে জানে, এই ধরনের অতিবৃষ্টি বন্যা হলে কাঁচা মরিচের সরবরাহ কমে যায়। এটা জনগণ খুব ভালো করে এতদিন টের পেয়েছে। সে জন্য অনেকে টবের মধ্যেও কাঁচা মরিচ রোপণ করেন। এই এক হাজার টাকা কাঁচা মরিচের কেজি, এটি এক-দুই দিনের ব্যাপার। আমার মনে হয়, যখন বৃষ্টি-বন্যা কমে যাবে, তখন দেখবেন, কাঁচা মরিচের দাম স্বাভাবিকের মধ্যে চলে আসছে।
দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপিত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ঢাকায় আনুমানিক দুই কোটি মানুষের বাস। সেখান থেকে প্রায় এক কোটির পাশাপাশি কমবেশি হতে পারে, ঈদের তিনদিন আগে থেকে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যান। এই কয়েক বছর ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, পদ্মা সেতুসহ বিভিন্ন কারণে ঘরমুখী মানুষের যে ঢল নামে, সেখানে কিন্তু কোনো অসুবিধা হয়নি। কোনো কোনো জায়গায় হয়তো লম্বা লাইন লেগেছে, তবে সেটি দ্রুত সমাধানও হয়েছে। আমরা বলতে পারি, মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
কাঁচা চামড়া পাচার রোধে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের বর্ডার ঠিক আছে। চামড়া নিয়ে কেউ আসতেও পারবেন না, যেতেও পারবেন না। এবার একটি অসুবিধা হলো কাঁচা চামড়ার দাম সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কমে বিক্রি হয়েছে।ঈদে আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিল জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি সারা বাংলাদেশেই স্বাভাবিক অবস্থা ছিল। কোনো অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাটো দু-একটি ঘটনা বাদ দিলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে একটি ঘটনা আমাদের খুব নাড়া দিয়েছে। ঈদের পরে শনিবার এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছিনতাইকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছিল, রক্তক্ষরণে তিনি ইন্তেকাল করেন। আরেকজন সাংবাদিককেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়, তিনিও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিলেন। এই দুটি ঘটনা ছাড়া ঢাকায় তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটি সব জায়গায়ই খুব শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়েছে।
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই বেড়েছে এতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো দুর্বলতা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দুর্বলতা নেই বলেই তো দুটি ঘটনা ঘটেছে। এ রকম কিছু হলে আমি এ প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতাম। আমি স্পষ্ট করে বললাম, এই দুটি ঘটনা সাত দিনের মধ্যে ঘটেছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত, হওয়া উচিত হয়নি। আমরা মনে করি, যে কারও যদি দুর্বলতা থাকে, আমাদের কমিশনার কিছুক্ষণ আগে এসেছিলেন, তিনি এটা গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন। যে কারও দুর্বলতা থাকলে সেটা তিনি দেখছেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যবস্থাটা আমরা করে ফেলছি।
