বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল হাসান জিসানকে হত্যাচেষ্টার মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিএম ফারহান ইশতিয়াকের আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হোসেন গত ২২ মার্চ পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করলে আবুল হাসানকে আদালতে হাজির করা হয়।
শুনানির সময় আবুল হাসানকে আদালতে দাঁড় করানো হলে তাকে হাত তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। তখন তিনি বলেন, ‘হাত উঠাবো কেমনে, পেছনে তো হ্যান্ডকাফ লাগানো।’
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আবুল হাসান আলোচিত ব্যক্তি। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় যাত্রাবাড়ীতে প্রায় ৫০ জনের মরদেহ পড়ে ছিল। আন্দোলন দমনে তিনি সক্রিয়ভাবে ভূমিকা পালন করেছেন।” তিনি আবুল হাসানের পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। তবে আসামিপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না। আদালত পরে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে হাঁটুতে গুলিবিদ্ধ হন ১৯ বছর বয়সী শিক্ষার্থী মঞ্জুরুল হাসান জিসান। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা মো. তাজ উদ্দিন ওই বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন, যাতে আবুল হাসান ৮ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
২০২৩ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরবর্তীতে তাকে একাধিক মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।