ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার সেজামুড়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে এক বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মুরাদ হোসেন মুন্না (৩৫), তিনি সেজামুড়া গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।
মুন্নার বোন পারভীন বেগম জানান, মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে সীমান্তের কাছাকাছি নিজেদের জমিতে পানি দিতে গিয়েছিলেন মুন্না। এ সময় বিএসএফের সাত-আটজন সদস্য তাকে ডেকে সীমান্ত পিলারের কাছে নিয়ে যায়। কথাবার্তা শেষে তাকে ছেড়ে দিলেও কিছুদূর আসার পর ফের ডেকে নেয় তারা। এরপর বিএসএফ সদস্যরা তাকে মারধর করলে মুন্না জ্ঞান হারান। সন্ধ্যা ৭টার দিকে সীমান্ত এলাকায় অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে চলে যায় বিএসএফ সদস্যরা। পরে পরিবারের লোকজন মুন্নাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে ঘটনার বিষয়ে ভিন্ন তথ্য দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি ২৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, “প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ওই যুবক অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরে নিজেই হেঁটে দেশে ফিরে আসেন। এরপর তার মৃত্যু কীভাবে ঘটল, তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।”
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী।