মাদারীপুর
২৪ মার্চ, ২০২৫ ০৯:৩৬
শেয়ার
আধিপত্য নিয়ে উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতিকে কুপিয়ে হত্যা
সংগৃহীত ছবি
মাদারীপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এক শ্রমিকদল নেতাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। প্রতিপক্ষের লোকজন এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে দাবি নিহতের পক্ষের। রবিবার (২৩ মার্চ) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার নতুন মাদারীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাকিল মুন্সি (৩২) মাদারীপুর সদর উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি ও নতুন মাদারীপুর গ্রামের মোফাজ্জেল মুন্সির ছেলে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিটন হাওলাদার নামে একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার মফেজ হাওলাদারের ছেলে। অপর অভিযুক্ত লিটনের ভাতিজা আল আমিন হাওলাদার। তার বাবার নাম আলমগীর হাওলাদার।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শ্রমিকদল নেতা শাকিল মুন্সির সঙ্গে এলাকার আধিপত্য নিয়ে শহরের বিসিক শিল্পনগরী এলাকার লিটন হাওলাদারের বিরোধ চলছিল। এরই জেরে নতুন মাদারীপুর এলাকায় একা পেয়ে শাকিলের ওপর হামলা চালায় লিটন ও তার ভাতিজা আল আমিনসহ ১৫-২০ জন। শাকিলকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন।
তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
এ সময় আরো দুজনকে কুপিয়ে আহত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে সেনাবাহিনী ও পুলিশ। পরে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মৃত্যু হয় শাকিলের।
নিহত শাকিলের ভাই রনজু মুন্সিসহ পরিবারের সদস্যদের দাবি, লিটন হাওলাদারকে মাদারীপুর পৌরসভা শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে সম্প্রতি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এর প্রতিবাদ করে সদর উপজেলার শ্রমিক দলের সভাপতি শাকিল মুন্সি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন লিটন।
পরে তিনি ও তার ভাতিজা আল আমিনকে সঙ্গে নিয়ে শাকিলের ওপর হামলা চালায়। তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে শাকিলের মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে রাতেই বিএনপির সমর্থকরা হত্যাকারীদের বিচার দাবি করে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। ঘটনায় পরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন মারা গেছেন। এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’