Dhaka 10:53 am, Friday, 13 June 2025
বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব

মুন্সীগঞ্জে গোলাগুলিতে নিহত দুই

মুন্সীগঞ্জ সদর ও চাদপুরের মোহনপুর সীমানার চর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে নৌপুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুন্সীগঞ্জ ও মোহনপুর সীমানাধীন চড় আব্দুল্লাহপুর মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিবরিয়া মিজি ও তার লোকজন মুন্সীগঞ্জ-মোহনপুর সীমানাধীন চর বাংলাবাজার এলাকায় চাঁদপুর নৌপুলিশের সহযোগিতায় ২৫ থেকে ২৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার বাধা দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ড্রেজার বসাতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দিলে কিবরিয়া মিজি বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য জনি, জসিম দেওয়ান মিছির বেপারী ও মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে গুলি শুরু করে।

এ সময় ট্রলার ও স্পিডবোটে থাকা রিফাত, রাসেল ও স্পিডবোট চালক আইয়ুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাত ও রাসেলের মৃত্যু হয়।

এদিকে গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত রিফাত (২৬) মতলব উত্তরের বাসিন্দা ও রাসেল ফকির (২৮) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচন গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে। গুরুতর আহত আইয়ুব আলী (৩৫) মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মান্নান হাওলাদার ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকেই তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসে। এর মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন আর আরেকজন গুলিবিদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। রিফাত এবং রাসেল নামে দুজন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।

ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্ব

মুন্সীগঞ্জে গোলাগুলিতে নিহত দুই

প্রকাশঃ 06:41:48 pm, Thursday, 30 January 2025

মুন্সীগঞ্জ সদর ও চাদপুরের মোহনপুর সীমানার চর আব্দুল্লাহপুর এলাকায় বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে নৌপুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১১ জন আহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুন্সীগঞ্জ ও মোহনপুর সীমানাধীন চড় আব্দুল্লাহপুর মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিবরিয়া মিজি ও তার লোকজন মুন্সীগঞ্জ-মোহনপুর সীমানাধীন চর বাংলাবাজার এলাকায় চাঁদপুর নৌপুলিশের সহযোগিতায় ২৫ থেকে ২৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করে। এ নিয়ে স্থানীয়রা একাধিকবার বাধা দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে ড্রেজার বসাতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দিলে কিবরিয়া মিজি বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য জনি, জসিম দেওয়ান মিছির বেপারী ও মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে গুলি শুরু করে।

এ সময় ট্রলার ও স্পিডবোটে থাকা রিফাত, রাসেল ও স্পিডবোট চালক আইয়ুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাত ও রাসেলের মৃত্যু হয়।

এদিকে গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহত রিফাত (২৬) মতলব উত্তরের বাসিন্দা ও রাসেল ফকির (২৮) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচন গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে। গুরুতর আহত আইয়ুব আলী (৩৫) মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মান্নান হাওলাদার ছেলে।

মুন্সীগঞ্জ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ জানিয়েছেন, রাত ৮টার দিকেই তিনজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসে। এর মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন আর আরেকজন গুলিবিদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম বলেন, গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। রিফাত এবং রাসেল নামে দুজন মারা গেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।